সাত খুন মামলার আসামি নুর হোসনের ভাই নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ


আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নুর হোসনের ছোট ভাই নুরুজ্জামান জজ ওরফে ছোট মিয়ার বিরুদ্ধে একজন পরিবহন শ্রমিক নেতাকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে জজ মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগকারী নোমান হোসেন টুটুলকে ২১ ডিসেম্বর রাত ১১ টার দিকে শিমরাইল এলাকা থেকে অপহরণ করার চেষ্টা চালায় জজ মিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এঘটনায় টুটুল বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন রাতে শিমরাইল সাজেদা হাসপাতাল সংলগ্ন নিজ অফিসে লোকজন নিয়ে ব্যবসায়ীক আলোচনা করছিলেন বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন শিমরাইল শাখার সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন টুটুল। এসময় নূরুজ্জামান জজ মিয়ার নেতৃত্বে তিনটি গাড়ি দিয়ে সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র টুটুল ও তার অফিস সহকারি মামুনকে জোর করে টেনে হেঁচরে গাড়িতে তুলে। তখন আশপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।

সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যায়। তখন সন্ত্রাসীরা তাদের রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় গাড়ি কেনার জন্য অফিসে থাকা ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। এঘটনায় নূরুজ্জামান জজ, রফিকুল ইসলাম রতন, ফারুক ওরফে কানা ফারুক, সিদ্দিক, কেরানি কাশেম,লিটন,করিম, শামীম ও হৃদয়ের নাম উল্লেখ আর ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন টুটুল।

অনুসন্ধানে যানা যায় বর্তমানে নূরুজ্জামান জজকে নরঘাতক নুর হোসেনের ভুমিকায় আনতে চাড়চিলের ভুমিকায় রয়েছে ফারুক ওরফে কানা ফারুক , শাহজাহানের ভুমিকায় রয়েছে রফিকুল ইসলাম রতন , আলি আহম্মদের ভুমিকায় রয়েছে কেরানি কাসেম , সানার ভুমিকায় রয়েছে মোঃ লিটন । মুলত নুর হোসেনকে ক্ষমতাসীন ও কুক্ষাত সন্ত্রাস বানাতে এরাই মুল সহযোগী । শ্রমিক নেতা নোমান হোসেন টুটুলকে অপহরণ চেষ্টায় জড়িত নুরুজ্জামান জজ , কানা ফারুক , রতন, কেরানি কাসেম,মোঃলিটন।

জানা গেছে, আলোচিত নূর হোসেনের প্রধান আস্তানা সেই শিমরাইল ট্রাক টার্মিনাল এখন নিয়ন্ত্রন করছেন নুরুজ্জামান জজ ওরফে জজ মিয়া। এক সময়ের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী জজ মিয়া বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন শিমরাইল শাখা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মটর চালক লীগের সভাপতি হয়েই ট্রাক টার্মিনাল দখলে নেয়। সাত খুনের পর সে অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেই খানেই আন্ত:জেলা অফিস নির্মাণ করে

Post a Comment

0 Comments