মায়ের নামে কেনা সম্পত্তি দেখে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা একটি পাটের গুদাম ও একটি রেষ্ট হাউজ দেখে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার বিকালে ৪ টর সময় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে খানজাহাআলী সেতু হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাটে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘাট পার হয়ে তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গুদাম পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি ৪০ মিনিট অবস্থান করে পাটগুদাম ও রেষ্ট হাউজ ঘুরে দেখেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। 

পরিদর্শন শেষে বিকালে একই পথে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জ ফিরে যান। তিনি রাতে গোপালগঞ্জে অবস্থান করবেন। সেখান থেকে পরদিন শনিবার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করে নবগঠিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে রাতে ঢাকায় ফিরে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরটি ব্যাক্তিগত সফর হওয়ার কারণে তার সঙ্গে দলের নেতাকর্মীরা সাক্ষাৎ করতে পারেনি, এমনকি সংবাদমাধ্যম কর্মীদের পরিদর্শন স্থলে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। শুধুমাত্র খুলনা-০৩ আসনের সাংসদ সদস্য ও শ্রম ও কর্মসংস্হান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং খুলনা-০৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী পরিদর্শন স্থলে উপস্থিত ছিলেন।

দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছোটভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী এ জমির মালিক হলেও তিনি জানতেন না। ২০০৭ সালে তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান। তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউজ। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে পুরো খুলনা নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় আসেন।

Post a Comment

0 Comments