নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মাদকের গড ফাদার আলোচিত মাদক সম্রাট এস কে সজীব ওরফে ছোট সজীব ওরফে ছোট বদি। তার সহযোগী মামুন ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার হলেও দৌড়ে পালিয়ে এ যাত্রায় বেঁচে যায় ছোট বদি। তবে মামলার হাত থেকে রেহাই পাননি আলোচিত এ মাদক ব্যবসায়ী। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই আসাদুজ্জামান তালুকদার বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত মামুন ও সজীব ওরফে ছোট বদিকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামা তালুকদার ও আরিফ শেখ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ছয়টার দিকে সোনারগাঁ থানার বাড়ী চিনিষ পশ্চিম পাড়ার কবিরের বাড়ীর সামনের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে ১৫ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী মামুন কে গ্রেফতার করে। তবে গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামুনের গডফাদার সজীব ওরফে ছোট বদি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় জানান, সোনারগাঁয়ে মাদক ব্যবসা চরম আকার ধারণ করেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের দাপটে অতিষ্ট স্থানীয়রা। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে। হাত বাড়ালেই মিলছে মরণ নেশা ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা, মদসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য। অনেক সময় এই উপজেলাকে মাদকের ট্রানজিট রুট হিসেবেও ব্যবহার করে থাকে মাদক ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় এসব মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস কে সজীব ওরফে ছোট বদির নিয়ন্ত্রণে চলছে মাদক ব্যবসা। ইতোপূর্বে তাকে একাধিকবার মাদকসহ আটক করেছে র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোগরাপাড়া এলাকার তৃণমূল আ;লীগের কর্মীরা জানান, ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার ও নাশকতার আসামি হৃদয় প্রধান, কিশোর গ্যাং লিডার ও চিহ্নিত ডাকাত পায়েল এবং মাদক ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম সাগর হচ্ছে সজীবের মূল হাতিয়ার। এদের মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মূলত হৃদয় প্রধান হচ্ছে ছাত্রদলের ক্যাডার। সে নিজেকে বাঁচাতে সজীবের মাধ্যমে যুবলীগে যোগদান করে তার ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে। আর ১৫/১৬ টি মামলার আসামি চিহ্নিত ডাকাত পায়েল এলাকায় মাদক ব্যবসা ও ডাকাতি নিয়ন্ত্রণ করছে। সড়ক পথে যতো ডাকাতি আছে তার অধিকাংশর সাথেই পায়েলের নাম জড়িত। এছাড়া দূর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ হিসেবে শফিকুল ইসলাম সাগর সুপরিচিত এলাকায়। মানুষের জমি দখল, ড্রেজার ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন শফিকুল। সোনারগাঁ আ’লীগকে বাঁচাতে হলে সজীব ওরফে ছোট বদি ও তার মদদদাতা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুদের মতো লোকদের দল থেকে বিতারিত করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। নয়তো আগামি নির্বাচনে এই উপজেলা থেকে নৌকার ভরাডুবি কেউ ঠেকাতে পারবে না।
0 Comments