সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ


প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান সামসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময়, তারা আগামী রবিবারের মধ্যে শামসুজ্জামানকে না ছাড়লে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। প্রায় একঘণ্টা পর্যন্ত চলে এ অবরোধ কর্মসূচি। এসময় সড়কটির উভয় লেনের যান চলাচল বন্ধ ছিল।


এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ-মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সড়কে এসে অবস্থান নেয়।

এসময়, শিক্ষার্থীরা শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলেরও দাবি জানায়।



অবরোধ চলাকালে শামসুজ্জামান শামসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, বর্তমানে দেশে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। সাংবাদিকদেরও গলা চেপে ধরা হচ্ছে। যার প্রমাণ আমরা সাংবাদিক শামসুজ্জামানের ক্ষেত্রে দেখি। তাকে ভাত, মাছের স্বাধীনতার কথা লেখার জন্য রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা আগামী রোববারের মধ্যে শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। নইলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।

এসময় চলচ্চিত্র আন্দোলনের সংগঠক সুদীপ্ত দে বলেন, যতদিন শামসুজ্জামান ভাইকে মুক্তি না দেওয়া হবে ততদিন আমরা ভাত, মাছ, মাংসের স্বাধীনতা’ চাই এ হেডলাইন বলে যাবো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ পর্যন্ত যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সকলকে মুক্তি দিন। অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করুন। নইলে আমরা লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিবো।

এমন প্রেক্ষাপটে ঘটনাস্থলে প্রায় শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা, র‍্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

পুলিশের এএসপি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেন শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কাজ করতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা দিতে এসেছি। কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে সেটার দিকেও খেয়াল রাখছি।’

এ ব্যাপারে জাবি প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আমাদের শিক্ষার্থী রাস্তা অবরোধ করেছে। সাথে সাথে সেখানে গিয়েছি যাতে তাদের সাথে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। সেখানে গিয়ে রমজানের দিনে জনমানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করতে বলায় তারা বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ উঠিয়ে নিয়েছে। অবরোধের ইস্যুটা যেহেতু রাষ্ট্রীয়, রাষ্ট্রই এটার সমাধান করবে। আইনসম্মতভাবেই সমাধান হবে।



Post a Comment

0 Comments