ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নির্দোষ এক কিশোর (১৫) ও তার বাবাকে গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
উক্ত নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার (২০ মার্চ) মধুখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় আরো জড়িত চারজনকে আজ সোমবার (২৭মার্চ) গ্রেফতার করে দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়, এর আগে ২৫ মার্চ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়, তাদের মধ্যে দুজন এখন জামিনে বেরিয়ে এসেছেন। তবে মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি কুতুবউদ্দিন(২৫) এখনো জেলে রয়েছেন।
আজ পুলিশ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান,
বাবা ও ছেলেকে নির্যাতনের আগে শিশু মেয়েটির একটি ভিডিও করা হয় যেখানে সে তার বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করে। পরে মেয়েটিকে যখন মেডিকেল টেস্ট করার জন্য পাঠিয়েছি তখন সে সত্য কথা বলেছে। শিশুটি আদালতে জবানবন্দিতে বলেছে, ‘আমাকে যৌন নির্যাতন করা হয় নাই। আমি মেডিকেল টেস্ট করাতে চাই না। ওই মহিলা (রুমা) আমাকে প্রলোভন দেখিয়েছে। টাকা দিয়ে বলেছে, যে তোর সৎ ভাই আর বাবার বিরুদ্ধে এসব কথা বলবি। আর ওই মহিলাকে একথা বলার জন্য ঠিক করেছেন ওই স্কুলের শিক্ষিকা। কারন তিনি নি:সন্তান তাই শিশুটিকে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন।
ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা লিপি এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী, তিনিই শিশুটিকে তার ভাইয়ের এবং বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতে বাধ্য করেছিলেন।
0 Comments