সাকিবের দুবাই সফর ঘিরে যা যা ঘটল

 



টি-টুয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের কয়েকঘণ্টা পরই ঢাকা ছাড়েন সাকিব আল হাসান। রাত একটার ফ্লাইটে পাড়ি দেন দুবাইতে। একটি স্বর্ণের দোকানের উদ্বোধন করতে সেখানে যান টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর নানা আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে ক্রিকেট তারকার দুবাই সফর।

আলোচনা-সমালোচনা অবশ্য শুরু হয়ে যায় সাকিব রওনা দেয়ার আগেই। ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে তার দুবাই যাওয়ার কথা ও শুভেচ্ছা বার্তা যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আলোচনা ছড়িয়ে যায় দ্রুতই। সামনে আসে প্রতিষ্ঠানটির মালিকের ফেরারি কাহিনীও। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। আরাভ খান নামের ওই ব্যক্তি দুবাইতে আছেন নাম-পরিচয় পাল্টিয়ে। তিনি দেশ পলাতক এবং একটি খুনের মামলার আসামীও।


আরাভ খানের আসল নাম রবিউল ইসলাম। বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। চার বছর আগে ঢাকায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার আসামি তিনি, দেশ ছেড়েছেন সেসময়ই।

বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যাকাণ্ডে জড়িত রবিউল ইসলাম। পরে ভারতে পালিয়ে যান তিনি। ভারতেই বিয়ে করেন। ভুয়া নাম-পরিচয় দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট বানান। সেই পাসপোর্ট দিয়ে পাড়ি জমান দুবাইয়ে। বর্তমানে সেখানে স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিচয়ে আছেন।

আরাভ খানের আসল পরিচয় প্রকাশের পর তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে থাকার বিষয়টি সাকিব আল হাসানকে অবগতও করা হয় বলে খবরে আসে। এরপরও প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করতে যান সাকিব।

আরাভ খানের বাড়িতে সাকিব



উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসান, চলচ্চিত্র পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস, ইউটিউবার হিরো আলমসহ ঢাকার বেশ কয়েকজন তরুণ শিল্পী অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দেবাশীষ। উদ্বোধন করলেও মঞ্চে ওঠেননি সাকিব।


তবে আরাভ খানের বাড়িতে যান সাকিব। সেখানে সাকিবের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন আরাভ। শিরোনামে লিখেছেন, ‘এত নিউজ এরপরেও সাকিব আল হাসান আপনি আমার বাসায় এসেছেন, আপনি আসলেই খুব মহান। আল্লাহ তা’আলা আপনাকে ভাল রাখুক সেই দোয়া করি।’


এ ঘটনায় সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমকে প্রশ্ন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। বলেছেন, ‘আরাভ খান নামধারী রবিউল একজন খুনি। এসব কথা সাকিব আল হাসানদের অবগত করার পরও তারা ‘আরাভ’ নামের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করেছেন, সেটা দুঃখজনক। তদন্তের স্বার্থে যদি প্রয়োজন মনে করি, তাহলে সাকিব-হিরো আলমদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।’



Post a Comment

0 Comments