আজ থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দে শুরু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী ¯স্নাণোৎসব

এস এম শাহিন আহাম্মেদ// 

আজ(মঙ্গলবার) থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দের আদি ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুইদিন ব্যাপি অষ্টমী স্নানোৎসব। সুষ্ঠুভাবে স্নান সস্পাদনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৮টি স্নান ঘাটের সংস্কার , কাপড় পরিবর্তন কক্ষ ও অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ, পানীয় জল সরবরাহ এবং নদের কচুরিপানা অপসারণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন ।    সাত বছর আগে বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার গুজবে ভীড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ১০জন স্নানার্থীর মৃত্যু হওয়ায়  এবার নেয়া  হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে তিন বছর পর এবার বসছে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লোকজ মেলা। 

 আয়োজকরা জানান, এ বছর মঙ্গলবার রাত ৯ টা ১৮ মিনিটে  ¯স্লান লগ্ন শুরু হবে। শেষ হবে বুধবার রাত ১০ টা ৪৭ মিনিটে। স্নানোৎসবে অংশ নিতে দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে পূণ্যার্থীরা লাঙ্গলবন্দে আসতে শুরু করেছেন।  হিন্দু শাস্ত্রমতে ”হে মহাভাগ ব্রহ্মপুত্র , হে লৌহিত্য , আমার পাপ হরণ করো”। এই মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা , ধান  দুর্বা , হরিতকি , ডাব, আমপাতা পিতৃকুলের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরাত এ খুদা  জানান, সুষ্ঠুভাবে  স্নান  সম্পাদনের  জন্য সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৮ টি স্নান ঘাট  সংস্কার  করা হয়েছে ।  নদের কচুরিপানা  পরিস্কার  করা হয়েছে ।   বিশুদ্ধ  পানি  সরবরাহে ৪৭টি নলকুপ , একশ’ অস্থায়ী  টয়লেটসহ ¯œান ঘাটে  কাপড়  পাল্টানোর ঘর নির্মাণ  করা হয়েছে।

বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন,  পূর্ণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ,আনসার ও র‌্যাবের সহ¯্রাধিক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন । এছাড়া সাদা পোশাকে রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর কিছু সদস্য। তীর্থস্থানের তিন কিলোমিটার এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। যানজট নিরসনে ট্রাফিক  ও নদীতে নৌপুলিশ কাজ করছেন।  

এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ,নেপাল, ভূটান ও শ্রীলংকা  থেকে পূণ্যার্থীরা স্নানোৎসবে অংশ নিচ্ছেন বলে লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান।

নারায়ণগঞ্জ এলজিআরডির নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন জানান, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের উন্নয়নে প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।