নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় চিহ্নিত ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মিজান ওরফে পিচ্চি মিজান বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে এক গার্মেন্টস কর্মী। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার মাসদাইর পাকাপুল এলাকায় সোলেমান(২৭) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে সক্রিয় ছিনতাই চক্রের সদস্যরা। এ বিষয়ে আহত সোলেমান ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, হামলার শিকার গার্মেন্টস কর্মী বিসিকের নিজ কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাসদাইর পকাপুলের সামনে আসলে উৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারিরা সোলেমানকে(হামলার শিকার গার্মেন্টস কর্মী) রাস্তা আটকে দাড়াতে বলেন। পরে কৌশলে পাশের একটি খালি মাঠে নিয়ে তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তাই চিৎকার করে উঠে ভুক্তভোগী। ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে ছিনতাইকারিদের সাথে থাকা দেশীও অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।পরে আশপাশের সাধারন মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারিরা । পরে উপস্থিত জনতা আহত সোলেমানকে উদ্ধার করে শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী সোলেমানের মামা আবুল হোসেন বলেন, সোলেমান ফতুল্লার বিসিকের একটি নিট পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গতকাল সপ্তাহের বিল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পরেন। বাঁচার জন্য চিৎকার করেন । তাই হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক দোকান মালিক নিশ্চিত করেন ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে। পরে তার দোকানের পেছনে থাকা(মাঠে প্রবেশের) সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় স্থানীয় সন্ত্রাসী মিজান ওরফে পিচ্চি মিজান ও তার বাহিনী চিত্র। ছিনতাই চক্রে মিজান ছাড়াও, আফজল, আদর, ইমতিয়াজ, রানা, সাকিব, সেলিম, আজিম ছাড়াও বেশ কয়েকজন সংবদ্ধ সক্রিয় ছিনতাই চক্রের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয় ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য আসা ফতুল্লা মডেল থানার এস, আই আজিম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত সোলেমান হাসতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে।
সূত্র বলছে, মিজান ওরফে পিচ্চি মিজান পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানা বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এর মধে, চুরি, ছিনতাই, অস্ত্র, মাদক, ডাকাতি, হত্যা চেষ্টা, জমি দখলসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
0 Comments