নারায়ণগঞ্জ জেলার আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে গতকাল আশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় বক্তৃতা দেওয়ায় আমরা জেলা যুবদল লজ্জিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
একজন জেলা পর্যায়ের নেতার ভাষা জ্ঞান ও রাজনৈতিক দীক্ষা কতটুকু তার এ হীন বক্তব্যে সহজেই অনুমেয়। আমাদের প্রতিপক্ষ এমন ভাষা ব্যবহার করেছেন যা তার ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। ভুলে যাবেন না বেগম খালেদা জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ও স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী।
ভবিষ্যতে জনগণের কাছে আজ ও বিগত সবকিছুর হিসেব দেওয়ার জন্য তৈরি হোন। লুটপাট করে, দুর্নীতি করে, মানুষ গুম-খুন করে অর্জিত অর্থ-সম্পদের ও সকল অপকর্মের হিসেব জনগণ কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিবে। রাজনীতি কার জন্য করেন সেটা জনগণ বুঝে গেছে। জনগণ এটাও বুঝে গেছে যে আপনাদের শক্তি কোথায়।
আপনারা অস্ত্রের ঝনঝনানি দিয়ে সবকিছু জয় করে নিবেন এমনটা ভেবে থাকলে ভুল। মনে রাখবেন এ নেত্রীর হাত ধরেই স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সব রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসে রাজপথে আন্দোলনে নেমেছিলো।
তখনই বুঝা গিয়েছিলো গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রাজপথে কার শক্তি বেশী ও জনগণ কাকে বেশী ভালবাসে। এজন্যই তাকে আপোষহীন নেত্রী ও গণতন্ত্রের মানসকন্যা বলা হয়।
আপনারা ভয়ে আবোল-তাবোল বকছেন সেটা কিন্তু জনগণ সহজেই বুঝে গেছে। জনগণ এও বুঝে গেছে যে আপনাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আপনারা পাগল হয়ে গেছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে কার মদদে বা কে কে উস্কানি দিচ্ছেন সেসব জনগণ জানে, সুতরাং সবকিছুর জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। জনগণ অস্ত্র-লাঠির ভয় ভুলে গিয়ে রাস্তায় নামা শুরু করলে পালানোর পথ পাবেন না। আপনারা কেনো এমন বকছেন।
জনগণ তাদের নিজেদের অধিকার আদায়ে কারো মুখাপেক্ষী নয়। আপনারা উন্নয়নের বুলি শুনিয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে যেখানে নিয়ে গেছেন সেখান থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনতে জনগণ মাঠে নামবে এটা নিশ্চিত থাকেন।
পালানোর পথ খোঁজেন, প্রভুদের দরবারে ধর্না দিয়ে লাভ নেই। কোন অপশক্তিই আর আপনাদের ক্ষমতায় রাখতে পারবেনা, আপনাদের পতন অনিবার্য। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পেছনে দালাল লাগিয়েও খুব একটা ফায়দা নেই, আমরা কারো আশায় আন্দোলনের ডাক দেইনি। আমাদের শক্তি জনগণ। আপনাদের ভাওতাবাজি উন্নয়নের লুঙ্গি জনগণ কখন খুলে নেয় সেটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। অন্যকে সম্মান দিতে শিখেন, নিজেও সম্মান পাবেন। অন্যথায় আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।
0 Comments