মাসদাইর পতেঙ্গার মাঠে কিশোরগ্যাং লিডার ফেনসিডিল ব্যবসায়ী সাঈদ আসামী হয়েও ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রশাসন নীরব


 মাসদাইর গুদারা ঘাট এলাকায় মাদকের ডিলার সাঈদ জমজমাট মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাসদাইর গুদারা ঘাট এলাকায় বসবাস করা এই সাইদ ঐ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে মাদক  দিয়ে মাদক ব্যবসা করায়।

মাসদাইরে প্রতিনিয়ত চলছে মাদকের হাট, বাড়ছে ছিনতাই সহ নানা অপকর্ম। এলাকাবাসীর অভিযোগ,কিছু হলেই দোকান পাট বাড়িঘর ভাংচুর,মানুষের উপরে হামলাসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে সাঈদ  বিরুদ্ধে। কিশোরগ্যাং  এ-র মূল সদস্য এবং তাদের সহ যোগীতা চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। তাদের নামে থাকা অভিযোগ হলেও কুন মামল গ্রহন করছে না।সাঈদ ও সাবু রাকিব,তুষার,চশমা সাব্বির,সহ কিশোর গ্যাং এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ জনগণ। 

 এসকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে ভয় পায় পুলিশ।  কয়েকদিন আগে ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইরে ভাই ভাই অটো গ্যারেজে দবিকৃত চাঁদা না পেয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সাইদ (২৫ )  তার কিশোরগ্যাং বাহিনী নিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার ( ৩ জুন ) মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় রাত ৯ টায় এই হমলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গ্যারেজের মালিক মোঃ শহিদ (৩৬) পিতা মেজবাউদ্দিন জানান,সাইদ এই এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী সে কিছুদিন যাবৎ আমার কাছে চাঁদ দাবি করে আসছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় সে আমার গ্যারেজে আসে এবং আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদার টাকা তাকে না দিলে সে আমাকে এই জায়গায় ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। তখন আমি তাকে কোনরুপ চাঁদা দিব না বলে গ্যারেজ থেকে বের হয়ে যাই। এরপর সাইদ রাত ৯ টার সময় তার কিশোরগ্যাং বাহিনী দিয়ে  দেশীয় অস্র  নিয়ে আমার গ্যারেজে হামলা চালায়, তারা আমার গ্যারেজে থাকা ১১ টি অটো ভাংচুর করে যার ক্ষতির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এসময় আমার ম্যানেজার মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৭) তাদের বাঁধা দিলে তারা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলাফুলা জখম করে এবং আমার ক্যাশে থাক নগদ ৩৫ হাজার টাকা জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এছাড়াও তার যাওয়ার সময় অটো ড্রাইভার মোঃ ইয়াসিন (৫৫)  এর ব্যবহৃত মোবাইলটিও  নিয়ে যায়। এবং যাওয়ার সময় আমার যদি এই বিষয়ে কোন প্রকার মামলা করি তাহলে সবাইকে জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকিও দিয়ে যায়। পরে ম্যানেজার আমাকে ফোন দিয়ে এসব ঘটনা বললে আমি সাথে সাথে গ্যারেজে এসে ঘটনার সত্যতা দেখতে পাই। 

যেহেতু ওরা খারাপ প্রকৃতির লোক তাই আমি ও আমার পরিবার ও গ্যারেজে থাকা ড্রাইভারদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ফতু্ল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।

এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়,যার দ্বায়িত্ব দেয়া হয় এসআই জিয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ঘটনা যা হবার তা হয়ে গেছে,এখন আসামীদের খুঁজে বের করতে হবে। অথচ তিনি কোন আসামীকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি।


Post a Comment

0 Comments