নেতাকর্মীদের নিয়ে সেল্ফির ভালোবাসার উপহার দিচ্ছেন খোকন


 নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন গোলাম ফারুক খোকন। প্রতিদিনই বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এসে তার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। সেই সাথে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছেন। পাশাপাশি গোলাম ফারুক খোকনও সবসময় নেতাকর্মীদের পাশে থাকবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন। 

সূত্র বলছে, দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল আবাসিক এলাকার গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে সম্মেলন চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। আর এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে নেতাকর্মীদের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে আসছিল

সেই সাথে সম্মেলন শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম ফারুক খোকন নির্বাচিত হন। আর এই নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই গোলাম ফারুক খোকন নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসছেন। নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন। 

এর আগে, গত বছরের ১৫ নভেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর এই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন গোলাম ফারুক খোকন। সেই সাথে কমিটিতে ১ম যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন মামুন মাহমুদ। 

অন্যান্য যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন ल ইসলাম রবি, শহিদুল ইসলাম টিটু, ইসলাম রাজীব, লুৎফর রহমান খোকা, মোশারফ হোসেন, ও জুয়েল আহমেদ। 

আর এই আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা জোরালো ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। এমন কোনো কর্মসূচি পরিলক্ষিত হচ্ছে না যেখানে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা মিলছে না। তাদের নেতৃত্বে জেলা বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আগের তুলনায় আরো সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী হতে থাকে। এ কমিটি গঠন হওয়ায় ৯ দিন পরই কেন্দ্রের নির্দেশে বড় শোডাউন করে চমক দেখায় জেলা বিএনপি। 

এদিকে, এই কমিটি ঘোষণার পর শুরু হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রক্রিয়া। সেই সাথে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সভাপতি পদে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন নিশ্চিত হয়ে গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়। সেই সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গোলাম ফারুক খোকন ছিলেন। নেতাকর্মীদের প্রতি আস্থা রেখেই তিনি 

এদিকে, এই কমিটি ঘোষণার পর শুরু হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রক্রিয়া। সেই সাথে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সভাপতি পদে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন নিশ্চিত হয়ে গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়। সেই সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গোলাম ফারুক খোকনও প্রস্তুত ছিলেন। নেতাকর্মীদের প্রতি আস্থা রেখেই তিনি নির্বাচনের মাঠে ছিলেন। 

তবে শেষ পর্যন্ত সম্মেলনে আর ভোট হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা মাশুকুল ইসলাম রাজীব নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে গোলাম ফারুক খোকনকে সুযোগ করে দেন। সেই সাথে খোকন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে যান। 

তার আগে, গোলাম ফারুক খোকন বিগত দিনে দলের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে বেশ আলোচিত হয়েছেন। জেলার বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তিনি ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। বিএনপি তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দেয়ায় গোলাম ফারুক খোকনের দিকে নজর দেন। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে গোলাম ফারুককে সদস ব নির্বাচিত করা হয়েছিল। সেই সাথে এবার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত করা হয়।

Post a Comment

0 Comments