সিদ্ধিরগঞ্জে কূপ থেকে পানি তোলাকে কেন্দ্র করে ভাই ও ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে অন্য ভাই ও তাদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মাউচ্ছাপাড়া রেললাইনের দক্ষিন আজিবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে এ ব্যাপারে হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে গত ৮ই জুন রাতে বড় ভাই সবুল বাশার (৪৯) ও ছোট ভাই মোঃ রুবেল (৪০), মোঃ রাজ্জাক (৩৫), মোঃ রবিউল (৪৭), মোসাঃ ইতি বেগম (৩৫), মোসাঃ সেলিনা সহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাড়ীতে থাকা পানির কূপ থেকে পানি তোলাকে কেন্দ্র করে ১. সবুল বাশার, ২. রুবেল, ৩. রাজ্জাক, ৪. রবিউল, ৫. ইতি বেগম ও ৬. সেলিনার সাথে তার ভাই হারুন অর রশিদের সাথে পূর্ব বিরোধ চলছিল। এই আক্রোশে গত ৮ই জুন বেলা সাড়ে ১১টায় উক্ত বিবাদীরা সহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জন লোক দেশীয় তৈরী ধারালো রামদা, ছোরা, চাপাতি, লাঠি, কাঠ, ডাসা ও লোহার রড নিয়ে হারুন অর রশিদের বসত: বাড়ীতে হানা দেয় এবং তাকে ও তার স্ত্রী শাহনাজকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এসময় হারুন অর রশিদ বিবাদীদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে ১নং বিবাদীর নির্দেশে সকল বিবাদীগন তাকে মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলা ফুলা জখম করে। ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়া হারুন অর রশিদকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত তার মাথার বাম পার্শ্বে লাগিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
এসময় আমার ডাক চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার এগিয়ে আসলে ৩নং বিবাদী রাজ্জাক তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে আমার স্ত্রীর মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে আমার স্ত্রী মাথা সরিয়ে ফেললে উক্ত আঘাতটি আমার স্ত্রীর ডান চোখের নিচে লেগে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ৪ নং বিবাদী মোঃ রবিউল আমার স্ত্রীর মাথার চুল ধরিয়া টানা হেচড়া করে আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে ও আমার স্ত্রীর গলায় থাকা সাড়ে আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য ৪৯,০০০/- টাকা নিয়ে যায়।
এছাড়াও ৫ ও ৬ নং বিবাদী আমার ঘরের সুকেসের ড্রয়ারে থাকা নগদ ৬৮,৫০০/- টাকা নিয়ে যায়। এসময় আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সকল বিবাদীগন আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের সুযোগমত পেলে খুন করবে বলে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যান।
0 Comments