নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। ওই সময়ে হামলাকারীরা ৫টি গাড়ি ভাঙচুর ও বাড়িতে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে করে খোকনের বাড়িতে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ৩ জুলাই রাত সাড়ে ৮টায় ওই ঘটনা ঘটে।
খোকন বলেন, রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫টি গাড়িতে করে নেতাকর্মীরা আমার মুড়াপাড়ার বাসায় আসে। আমরা তখন বসে আলাপচারিতা করছিলাম। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের এক পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের পাভেল, শম্ভু, শহীদ ও তাওলাদের নেতৃত্বে শতাধিক যুবক লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হানা দেয়। তারা ওই ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে। বাড়ির ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে করে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি।
রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা সময়ে হামলাকারীরা বাইরে অবস্থান করছিলেন জানান খোকন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। একটি সভ্য দেশে এ ধরনের কর্মকান্ড হতে পারে না।’
এর আগেও মুড়াপাড়ায় খোকনের বাড়ির গেটের বিপরীতে জমিতে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কার্যালয় বা স্থাপনা নির্মাণ করতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরেও সেখানে কাজ চলমান রাখা হয়।
গোলাম ফারুক খোকন বলেন, ২২ মে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আমার বাড়িতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলিবর্ষণ করে এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এর পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন আমাদের বাড়ির আশেপাশে মহড়া দিচ্ছে। এখন সেখানে তারা যুবলীগের অফিস বানাচ্ছে। ২২ জুন আমাদের লোকজন বাধা দিলে প্রথমে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আবার পুলিশের উপস্থিতিতে কাজ শুরু হয়।
0 Comments