৩৬ বছরে এক সাথে চলা শামীম ওসমান ও লিপি ওসমান এর



 


১০ জুলাই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের বিবাহবার্ষিকী এমন খবর রটে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। শামীম ওসমান  তার অনুগামী অনেক আওয়ামী লীগ নেতা এ ব্যাপারে শামীম ওসমান ও তাঁর স্ত্রী সালমা ওসমান লিপির ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে শুভ কামনা করেছেন। এতে বলা হয়েছে, ১০জুলাই ছিল তাদের ৩৬ তম বিয়ে বার্ষিকী। 

এর আগে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে একটি অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় প্রেম কাহিনী বলেছিলেন। এতে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি কোন দিন ভয় পাই না। এ কলেজে একদিন ভয় পাইছিলাম; মারাত্মক পাইছি। ভয় পাইয়া, এমন ভয় পাইলাম, ভয় পাইয়া এক দৌড় দিয়ে এ কলেজের প্রিন্সিপালের রুমে চলে গেছি। আমারে গুলি করছে আমি ভয় পাই না। আমার উপরের বোমা মারছে আমি ভয় পাই না। পুলিশ ধরতে আসছে ভয় পাই না। সেনাবাহিনী ধরতে আসলে ভয় পাই না। কিন্তু সেইদিন ভয় পাইছিলাম। কারণ সালমা লিপির পিছে পিছে একটু ঘুরতাম। বেশি চান্স দিতো না। যেহেতু চান্স দেয় নাই বহুত ত্যাড়া মহিলা ছিল। এজন্য পিছে একটু বেশিই ঘুরতাম। একটা পর্যায়ে ঘুরতে ঘুরতে ভাবলাম যে চান্স যখন দিলো না এটারেই বিয়া কইরাম। কিন্তু আমার বাসায় বাবা ছিল খুব কঠিন মানুষ। ভাইয়েরা আমাকে খুব শাসন করতো। আমি যখন তোলারাম কলেজের ভিপি। তখনও মাগরিবের নামাজের পর বাসায় ঢুকতে পারতাম না। মাগরিব পড়ার সাথে সাথে আমাকে বাসায় যেতে হবে এবং হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসতে হবে। আমি যত বড় যত কিছুই হই না কেন। আমার এ দুঃখ আমার বন্ধু বান্ধবের ভাল্লাগে না। এই যে হাই হুতাশ করি আল্লাহরে কি করে একে পাওয়া যায়। এতে আমার বন্ধুদের সহ্য হইলো না। আমার দুই বন্ধু একটা মারোয়ারী আরেকটা বন্ধু আছে এখন কানাডায়। ওরা বললো, আমার দুঃখে দুঃখিত হয়েছে। আমার কষ্টে কষ্টিত হয়েছে। ৮৫/৮৬ সালের ঘটনা দেখলাম এতগুলি গোল মরিচ নিয়ে এসেছে। এরকম পাঁচ কেজি গোল মরিচ। আমি বললাম কি বলে এ গুলো গোল মরিচ। আমি বলি কি করতে হবে বলে সকাল বেলা সাতটা গোল মরিচ ফজরের নামাজের আগে উঠাইয়া চুলার মধ্যে ছেড়ে দিবি। তারপর কি হবে তারা বললো গোল মরিচ যখন জ¦লবে তখন ওর (সালমা লিপি) মন তখন আমার জন্য জ¦লে উঠবে। সাত দিন লাগবে বেটা তারপর দেখবি তোর জন্য দৌড়াই চলে আসবে। তাই বন্ধুর কথায় ট্র্যাই করতে অসুবিধা কি।

প্রতিদিন সকাল বেলা উঠাই রান্না ঘরে চুলার মধ্যে গোল মরিচ পোড়াই। একদিন হঠাৎ করে পোড়ানোর সময় পিছনের চেয়ে দেখি বাবা পিছনের দাঁড়াইয়া আছে। বাবা জিজ্ঞাসা করে রান্না ঘরে কি করো। এর মধ্যে আমার গলা শুকিয়ে গেছে। বাবা বলছে কি করো টস টস করে আওয়াজ হচ্ছে কেনো। বলছি গোল মরিচ পোড়াচ্ছি। বলে কেন পোড়াচ্ছো। মিথ্যা করে বলি আব্বা আমারে এক ফকির বলছে ফজরের নামাজের আগে যদি এ গোল মরিচ পোড়ালে নাকি বাসার ভিতরে নাকি কোন খারাপ জিনিস আসতে পারবে না। আমাকে কাউকে জানাইতে মানা করছে। তারপর বলে তাহলে পোড়াও সমস্যা নাই। এরপর আন্দোলন লাগছে। একদিন মহিলা কলেজে ঢুকছি। ঢোকার পর ওই যে আমার বন্ধু বলছে দৌড় দিয়া আমার বাসায় চলে আসবে। আমার দিন শেষ বাসায় চলে আসলে আমার বাপ দিবো আমারে মাইর। তখনও আমার বিয়ের বয়স হয় নাই। কি করি! আমি ভাবছি মিথ্যা কথা হবে না। এ কলেজে আসছি বক্তৃতা দিতে। তখন কলেজে গেট ছিলো বন্ধ বাহির হতে দিতো না মেয়েদের। এরা দেখছে আমি ঢুকছি ওনি (লিপি ওসমান) ওনার বান্ধবীরা দেখছে আমি ঢুকছি। আমি তখন পপুলার ছাত্র নেতা ছিলাম। আমি ঢুকছি তাই অবশ্যই কলেজের গেট খুলতে হবে। কলেজের গেট যেই না খোলছে ইনারা কলেজের কোনা থেকে দৌড় দিছে তখন আমি ভয় পেয়ে গেছি। আমি এক দৌড়ে প্রিন্সিপালের রুমে আর ওনারা যার ভয়ে দৌড় দিলাম ওনারা ডান দিক দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে। পরে এক সময়ে আমাদের বিয়ে হয়।

Post a Comment

0 Comments