আহত ছাত্রদল নেতা রাজীব কে দেখতে জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা।


 নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম রাজীব কে বেধড়ক মারধর করে আহত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, রাজীব এর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল থেকে ঢাকা মুগদা বৌদ্ধ মন্দির এর পাশে হেলথ এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে দেখতে যান 

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু, সিনিয়র যুগ্ম  সম্পাদক জাকারিয়া ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলন।

উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম রাজীবসহ ৩জন মারধরের শিকার  হয়েছেন। তাদের দাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের পরিকল্পিভাবে মারধর করেছে। তবে ছাত্রলীগ নেতাদের দাবী তারা ছিনতাইয়ের সময় জনতার রোষানলে পড়ে আক্রান্ত হয়েছে। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে তাদের মধ্যে রাজিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে নগরীর তোলারাম কলেজ রোডের ডাকবাংলোর সামনে। 

সরকারি তোলারাম কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র মোঃ শিহাব (২০) জানান, তিনি  ও তার সাথে থাকা আরেক সহপাঠী মোঃ নাঈম হোসেন (২০) কোচিং পড়ে বাড়ি ফেরার সময় ডাক বাংলোর মোড়ে এসে পৌঁছালে ৫ জনের একটি ছিনতাইকারী চক্র তাদের পথরোধ করে মোবাইল, নগদ টাকা সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা ছিনতাইকারীদের বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাদের হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ছুরিকাঘাত করে। ছিনতাইকারীদের চুরিকাঘাতে শিহাবের ডান হাত রক্তাক্ত জখম হয়। এছাড়া তার মুখমন্ডলে সজোরে আঘাত করলে তার চশমা ভেঙ্গে যায়। পাশাপাশি শিহাবের বন্ধু নাঈম হোসেন এর পিঠে নীলাফুলা জখম হয়। এরই মধ্যে শিহাবের সাথে থাকা আনুমানিক এক হাজার সাতশত টাকা,  ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (ভিভো ওয়াই ২০) ও গলায় থাকা ১৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আত্মরক্ষার্থে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসলে তিন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় দুই ছিনতাইকারীকে আটক করলে ওই চক্রের অজ্ঞাত ২০-২৫ জন তাদের ছাড়িয়ে নিতে আসে। এসময় স্থানীয় জনতা ও আশপাশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা খবর পেয়ে এগিয়ে আসলে তাদের ধাওয়ায় ওই চক্রের সকলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আটক দুই ছিনতাইকারীকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের জন্য স্থানীয় থানায় খবর দেয়া হলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনু, দুলাল ও মাসুদ সহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন আটককৃতদের ছিনিয়ে নিতে গেলে স্থানীয়দের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে আটক দুই ছিনতাইকারীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। 

হাসপাতালে যেয়ে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা বলেন এটা কোন সভ্যজাতীর কাজ না যারা মানুষ নামে অমানুষ তারা এই জঘন্য কাজ করতে পারে, রাজীব একজন মেধাবী ছাত্র নেতা তাকে পরিকল্পিত ভাবে কুলাঙ্গার ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরা ইচ্ছামত মেরেছে যেনো ওর একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, প্রশাসন এর কাছে অনুরোধ এর সুস্থ তদন্ত করে দোষিদের শাস্তি দেওয়া হউক।

Post a Comment

0 Comments