ডেস্ক রিপোর্টঃ
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ছবি ঝুলিয়ে জায়গা দখল এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি মিশরাত নাইম এর বিরুদ্ধে(৩২)। গত মঙ্গলবার(১আগস্ট) দুপুরে শাজাহানপুর থানায় এবং বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আমরুল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কপুর উদ্দিন এর ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম(৫০)। মিশরাত একই ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম কালাম এর ছেলে।
আমরুল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর খুটুমারি সেতু নির্মানের সময় নজরুল ইসলামের কাছ থেকে ১২শতাংশ জায়গা ভাড়া নিয়েছিলেন সেতু নির্মানকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তালুকদার এন্টার প্রাইজ। ওই জায়গাতে একটি সেমিপাকা ঘর বানিয়ে নির্মান সামগ্রী রাখা সহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন থাকতেন।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিশরাত। উপজেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রঞ্জু বলছেন খাস জায়গায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঘর বানিয়েছিলেন। এখন সেই ঘর দলীয় ছেলেদের ক্লাব হিসেবে ব্যবহার হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২বছর পূর্বে খুটুমারি সেতু নির্মান কাজ এর জন্য ১২শতাংশ জমি তালুকদার এন্টার প্রাইজকে ভাড়া দেন নজরুল। সেখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঘর নির্মান করে ব্যবহার করছিলেন।
৩১জুলাই বেলা ১০টার দিকে স্থানীয় মিশরাত নাইম সহ প্রায় ১৬জন ঘর নিতে চাইলে আমার কাছে ৩লক্ষ টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে তাঁরা আমার বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং সেতু সংলগ্ন ওই ঘরে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি লাগিয়ে দেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি মিশরাত নাইম জানান, লোকজন নিয়ে কারো জায়গা দখল করতে যাননি। খাস জমিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঘর করেছিলো। সেই ঘর দলীয় ছেলেদের জন্য ক্লাব বানাতে চেয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রঞ্জু জানান, মিশরাত নাইম উপজেলা ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি পদে আছেন। খুটুমারি সেতু নির্মানের সময় খাস জায়গায় সরকারি ঘর করা হয়েছিলো। কাজ শেষ এখন দলীয় ছেলেদের জন্য ঘরটি ক্লাব বানানোর জন্য মিশরাতকে বলেছেন। জমি দখলের ঘটনা মিথ্যা।
নজরুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ নুহিদুল ইসলাম(১৮) জানান, জমিটা তাঁদের কেনা সম্পত্তি। খাস সম্পত্তি হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু দলীয় পরিচয়ে ক্লাব করার নামে জায়গা দখল করছে স্থানীয় মিশরাত সহ তাঁর সহযোগীরা। প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তালুকদার এন্টার প্রাইজ এর স্বত্বাধিকারি আওয়াল শেখ জানান, ২বছর আগে খুটুমারি সেতুর কাজ শুরু করেন। সে সময় গোবিন্দপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের কাছ থেকে জায়গাটা ভাড়া নিয়েছিলেন। সরকারি অর্থায়নে ঘর তৈরী করা হয়েছে সরকারি কাজের জন্য। ঘর বিষয়ে প্রকৌশলী সিদ্ধান্ত দিবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মুহঃ ফারুক হাসান জানান, সেতু নির্মানে ঠিকাদার যাবতীয় কাজ করবেন। কাজের স্বার্থে উনি কোন জায়গা ভাড়া নিবেন, তাঁর বিল বা অন্য কিছু দেখার বিষয় ঠিকাদারের।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 Comments