মারুফ সরকার
স্টাফ রির্পোটার:
বাড্ডা থানা ছাত্রলীগে অসংখ্য বিতর্কিত নেতার কারণে রাজনীতিতে নিষ্কিয় হয়ে পড়েছে এক সময়ের সক্রিয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বাড্ডায় একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, টাকা ও অছাত্র না হলে বাড্ডা থানা ছাত্রলীগে কোন পদ পাওয়া যায় না। ৩১ জুলাই বাড্ডা থানার কয়েকটি ওয়ার্ডে কমিটি দেওয়া হয় যেখানে বিতর্কিতদের রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের ত্যাগি নেতা কর্মীরা। বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক রাজনীতিতে নিস্কিয় হয়ে যাওয়ার কারণে এই থানায় ছাত্রলীগের তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না। এর মাঝে আবার এরকম অছাত্র চাদাবাজদের টাকার বিনিময়ে যদি কমিটি দেওয়া হয় তবে সামনের আন্দোলন সংগ্রামে বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের কোন ভূমিকাই থাকবেনা । বাড্ডা থানার অন্তর্গত ৩৭ নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারন সম্পাদক জোবায়ের ইসলাম রাজন । যার বিভিন্ন সময়ের বিতর্কীত কার্যক্রমের ছবি স্যোশাল মিডিয়া জুড়ে তিব্র সমালোচনায় ভাসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানায় বিগত ২ বছর রাজন সেচ্ছাসেবক লীগ করতো এবং এলাকার মাদক ব্যবসায় জড়িত । এই কারনে তাকে কেউ কোন কমিটিতে রাখেনি । হটাৎ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রকৃত ছাত্রদের পাশ কাটিয়ে ৩৭ নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক বনে যায় । সবাই টাকার কাছে অসহায় । অনতিবিলম্বে এই কমিটি বিলুপ্ত করে প্রকৃত ছাত্রদের নিয়ে কমিটি করার দাবি জানাচ্ছি । এদিকে ৩৮ নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি করা হয়েছে শাজাহান উদ্দিন উজ্জলকে । এলাকার কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত । গত ৫ বছর যাবৎ সেও সেচ্ছাসেবক লীগ করতো যা নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা থানা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা । তার নিজের ফেইসবুকে বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগের সভা সমাবেশে বাড্ডা থানা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হিসেবে শোডাউনের ছবি পোষ্ট দিয়েছেন অতীতে। টাকার বিনিময়ে বর্তমান পোষ্ট পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । উজ্জল দলীয় পরিচয়ের আড়ালে ভয়ংকর চাঁদাবাজ ও স্থানীয়দের কাছে এক আতংকের নাম । উজ্জলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করেনা। এভাবে সেচ্ছাসেবকলীগের দুই নেতাকে দুই ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সাধারন সম্পাদক করায় ছাত্রলীগের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে । বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের ত্যাগি নেতাদের প্রশ্ন আর কেউ কি ছিলনা যে সেচ্ছাসেবক লীগ থেকে এনে নেতা বানানো হল ?
0 Comments