গত জুলাই ২৯, ২০২৩, নারায়ণগঞ্জে বিএনপি'র শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে ‘পুলিশের ছোড়া ছররা গুলিতে’ দুই চোখই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর।
অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হলেও একটি চোখে দেখছেন না তিনি, অন্য চোখে এখনি অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রাজধানীর বেসরকারি একটি বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতালে মঙ্গলবার শহীদুলের বাম চোখের অস্ত্রোপচার করেছেন ডা. নিয়াজ আব্দুর রহমান৷ বুধবার তার চোখের ব্যান্ডেজ খোলা হলেও ওই চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না শহীদুল।
ডা. নিয়াজ বলেন, তার সারামুখেই গুলি লেগেছে৷ বুলেট তার বাম চোখের এদিক-ওদিক হয়ে গেছে৷ খুবই বাজেভাবে চোখটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
চোখটিতে অপারেশন করে বুলেট বের করা হয়েছে৷ দৃষ্টিশক্তি ফিরবে কিনা জানতে অন্তত ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে৷ তবে দৃষ্টি ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ৷
অন্যদিকে ডান চোখটিতে এখনই অপারেশন করা যাচ্ছে না জানিয়ে এই চিকিৎসক আরও বলেন, চোখ তো খুবই সেন্সেটিভ অঙ্গ৷ তাই ওই চোখে ঠিক কোথায় গুলিটি আছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তা দেখার পর অপারেশনের ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ আপাতত চোখটিতে লেজার করা হয়েছে৷
শহীদুলের স্ত্রী আফরোজা ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও বিড়ম্বনার সম্মুখীন হন তারা৷ দুই ঘণ্টা অপারেশনের পর বাম চোখের ভেতর থেকে দু’টি বুলেট বের করা গেলেও তিনি চোখে দেখছেন না। এই চোখে দৃষ্টি ফিরে পাবেন কিনা সে নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। আর ডান চোখে এখনও বুলেট রয়ে গেছে, যেটি বেশি ভেতরে থাকায় বের করা যায়নি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শহীদুলের স্ত্রী বলেন, উনি আর চোখে দেখতে পাবেন কিনা, শিউরিটি দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এইটা আমাদের জন্য বিশাল বড় ক্ষতি। আমি জানি না, এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ হবে।
এইভাবে গুলি করে কাউকে অন্ধ করে দেওয়ার সুষ্ঠু বিচার চাই। একজন বিরোধী দলের রাজনীতি করেন বলে, তাকে এইভাবে গুলি করে অন্ধ করে দেওয়া যায় কিনা, দেশবাসীর কাছে আমি সেই প্রশ্ন রাখলাম।
0 Comments