টানা ১৫ মিনিট ইংরেজি বললে টেন্স ভুল হতেই পারে: জায়েদ খান

 




ঢালিউড চিত্রনায়ক জায়েদ খান। সমালোচনা যেন তার পিছু ছাড়ে না। এই নায়ক সিনেমায় অভিনয়ের জন্য যেমন আলোচিত তেমনি নানা কারণে নানান সময়ে হয়েছেন সমালোচিতও। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে ট্রলের শিকার হয়ে ইংরেজিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জায়েদ খান।

পরবর্তীতে সেই ইংরেজি বলা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।


জায়েদ বলেন, ‘টানা ১৫ মিনিট ইংরেজি বললে টেন্স ভুল হতেই পারে। আমি ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে আসিনি।


আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, ভাষা কেন এসেছে? নিজের বক্তব্য অপরকে বোঝানোর জন্য। আমি বোঝাতে পেরেছি কি না সেটাই মুখ্য। যদি আমার কথা তারা না বুঝত তাহলে কথা ছিল। ’

তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলছে, আমিও নাকি ইংরেজিতে আটকে গিয়েছি। আরে ইংরেজিতে আটকানোর কী আছে? ইউরোপ-আমেরিকায় ইংরেজি বলতে টেন্স লাগে না। তারা বলছে, আমি কেন জেলাস বললাম, জেলাসি হবে। ভাই, এই ভুল কি ধরার মতো? ওরা বিদেশ যায়নি, তাই গ্রামার নিয়ে ওদের এত সমস্যা। ’

পাকিস্তানি ক্রিকেটার জীবনেও ইংরেজি বলতে পারতেন না উল্লেখ করে জায়েদ খান বলেন, ‘পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইনজামামুল হক কোনো দিনও ইংরেজি বলতে পারেননি। তাকে প্রশ্ন করা হতো উর্দুতে। এসব ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় দোভাষী থাকে। যারা ভাষা অনুবাদ করে দেয়। সেই জায়গায় আমি নিজেই ইংরেজি বলে গেছি। ’

এই অভিনেতা বলেন, ‘আসলে কিছু মানুষ রয়েছে, যারা অন্যকে টেনে নামানোর চেষ্টা করে। সেখানে আমি টানা ১৫ মিনিট ইংরেজি বলে গেলাম, সেটা পজিটিভলি দেখা উচিত ছিল যেখানে, সেখানে তারা ভুল ধরছে। ওই যে বলে, যাকে দেখতে পারে না, তার চলন বাঁকা। এরা আসলে অযোগ্য, অযোগ্যরা খুঁজে খুঁজে অন্যের ভুল বের করে। ’

জায়েদ খান মনে করেন, তার সম্মান নয়, তাকে যারা হেয় করার চেষ্টা করছে তারা মূলত দেশকে হেয় করছে। তিনি বলেন, ‘আমি অ্যাওয়ার্ড পেলাম। সেটা নিয়েও অনেকের গা জ্বলেছে। ৪০টি দেশের কোথাও সমালোচনা হয়নি। শুধু আমাদের দেশের কিছু মানুষ সমালোচনা করল। আসলে তারা আমার সম্মান নষ্ট করেনি। তারা দেশের সম্মান নষ্ট করেছে। এরা দেশের ক্ষতি করছে, এরা দেশের ভালো চায় না। ’



Post a Comment

0 Comments