চুরির ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ ২৪ নং ওয়ার্ড নবীগঞ্জ সহ বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে দোকান-পাট,রাস্তা ঘাট গোডাউন-গ্যারেজ, অফিস-ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সব খানেই কম বেশি ছিঁচকে চোর অথবা গ্রিল কাটা চোরের একাকি বা সংঘবদ্ধ চুরির ঘটনা ঘটছে।
সাধারণ মানুষ তো বটেই, সমাজের ভিআইপি এবং নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদেরও বাসা বাড়িতে হানা দিতে তারা পিছপা হচ্ছে না। চোরেরা এতবেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে চুরির সময় কেউ দেখে ফেললে তাকে ধারালো চাকু বা ছুরি দিয়ে আঘাত করছে। এমনকি খুন করতেও দ্বিধাবোধ করছে না।
পর্যাপ্ত সিকিউরিটি এবং সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা স্বত্তেও চোর হানা দিয়েছে নবীগঞ্জ ফেরিঘাট আলমপিয়া কয়েক বাসায়। আলী হোসেনের শশুরের নির্মাণে বিল্ডিং থেকে একটি পানির পাম চুরির ঘটনা ঘটে, এসময় অজ্ঞাত চোরেরা বিদ্যুতের তার রাজমিস্ত্রির যন্ত্রপাতি চুরি করে নিয়ে যায়।
অপর দিকে নবীগঞ্জ রওশনবাগ মরহুম নুরইসলাম শিখা সাহেবের বাড়ি থেকে লোহার অ্যাঙ্গেল চুরি কর নিয়ে যায়।
গত ১ই আগস্ট নবীগঞ্জ বাজার উজ্জ্বল হোসেন দোকান থেকে চুরি গঠনা গঠে, সিকিউরিটি মোস্তফা মিয়া বলেন আমি একা মানুষ চোরের সংখ্যা বেশি, সারারাত ভালো ফ্যামিলির পোলাপাইন দেখি ঘুরাঘুরি করতে,দুই দিন আগে বাজার বিদ্যুতের বক্সের দরজা খুলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু নিতে পারে নাই,আমি চিল্লাচিল্লি করার কারণে ।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, বাসা বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়লেও রাস্তা-ঘাটে-মোড়ে তেমন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন না করা, পাড়া মহল্লায় আগের মতো পুলিশের নিয়মিত টহলের অনুপস্থিতির কারণে চোরদের উৎপাত বেড়ে গেছে।
চুরির ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে বেশিরভাগ সময় কোন ফলাফল না পাওয়ায় ভুক্তভোগীরা মামলা করতে উৎসাহ পায় না। ফলে বেশিরভাগ চুরির ঘটনা নীরবে থেকে যায় এবং পাড়া মহল্লায় চোরের সংঘবদ্ধ চক্র বার বার চুরি করতে উৎসাহ পায়। পাড়া মহল্লায় নিয়মিত টহল, চুরির মামলায় দ্রুত তদন্ত ও বিচার এবং থানায় রেকর্ডধারী যে সমস্ত ছিঁচকে চোর, গ্রিল কাঁটা,তালা কাঁটা চোর এবং সংঘবদ্ধ চোর-ডাকাতের তালিকা আছে তার সূত্র ধরে গ্রেফতার অভিযান চালালে চুরির ঘটনা দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব।
0 Comments