বাবার যেমন তৃনমুল নেতাকর্মীদের আগলে রাখেন তেমনই বাবার মতই আগলে রাখেন অয়ন ওসমান,
অয়ন ওসমানের জন্ম নারায়ণগঞ্জে এবং এই শহরের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি ঢাকা i বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাস করেছেন। তবে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে একজন মহান আইডল হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।
খান সাহেব ওসমান আলী থেকে শুরু। এরপর তার ছেলে সামসুজ্জোহা। অত:পর প্রয়াত সামসুজ্জোহার তিন ছেলে নাসিম ওসমান, সেলিম ওসমান এবং শামীম ওসমান, বংশ পরম্পরায় তারা প্রত্যেকেই আসন গ্রহণ করেছেন দেশের জাতীয় সংসদে। দেশের ইতিহাসে অদ্বিতীয় এক ঘটনা এটি। এই বংশ পরম্পরায়ের ধারাবাহিকতার সমাপ্তি এখানেই শেষ নয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আগামীতে ওসমান পরিবারের সেই পরম্পরায় ধরে রাখতে যাচ্ছেন শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমান। যা অনেকে আগে থেকেই ধারণা করে রেখেছেন। তবে ২০১৯ম সালে অয়ন ওসমানের একটি বক্তব্যে আরো জোড়ালো হয়েছে সেই সম্ভাবনাটি। এমনকি তা আগামী সাংসদ নির্বাচনেই প্রতিফলিত হওয়ার আভাসও পাওয়া গেছে।
দেশের তরুণ প্রজন্ম যখন মাসিক উপার্জন নিয়ে অব্যাহতভাবে চাকরির নিরাপত্তা অর্জনের জন্য কঠোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন অয়ন ওসমান উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে সম্মুখে অগ্রসর হয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও সহজতর করে চলেছেন।
তিনি ভিন্নধারার দৃষ্টিভঙ্গি ও বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করছেন এবং একটি শক্তিশালী তথ্য কাঠামো তৈরি করে তরুণ উদ্যোক্তাদের তাদের নিজ ক্ষমতায় সাফল্যের পথ দেখিয়ে চলেছেন। অয়ন ওসমান সর্বদা জনসাধারণকে সাহায্য করতে চেয়েছেন, দেশ ও জনগণের জন্য কিছু করতে এবং আর্থ-সামাজিক প্ল্যাটফর্মের উন্নয়নে অবদান রাখতে চেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ শহরে জেড এন আইটি সলিউশন এবং জেড এন শিপিং নামে প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সংস্থার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে তিনি একটি কর্মশক্তি তৈরি করেন।
অন্যদিকে শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমানও নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে নানাভাবে নিজেকে সক্রিয় রেখেছন। বর্তমানে তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি। অয়ন ওসমানের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কোন রকম বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়ানো ছাড়াই নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ পরিচালিত হয়ে আসছে।
অয়ন ওসমান একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসাবে সব সময়ই অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। করোনাকালীন সময়ে দেশের সাধারণ জনগণ যখন ঘরবন্দি অবস্থায়, তখন তার নিজস্ব অর্থায়নে নারায়ণগঞ্জ শহরে তিন হাজার পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন এবং ডিএনডি এলাকার মানুষ যখন জলাবদ্ধতার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছিলেন না, ঠিক সেই সময়ে ডিএনডি এলাকার মানুষের পাশে শুভেচ্ছা দূত হিসাবে হাজির হন অয়ন ওসমান। পাঁচ হাজার পরিবারের মাঝে নিজ হাতে তুলে দেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও খাদ্যসামগ্রী।
বর্তমানে তার তত্ত্বাবধানে একটি ঐক্যবদ্ধ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ কাজের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন, ‘জাতি ও ধর্ম নির্বিশেষে সমতায় আমি বিশ্বাস করি বলে আমার প্রতিষ্ঠানে পক্ষপাতিত্বের কোনো স্থান নেই।’
তার কঠোর পরিশ্রম দিয়ে তিনি বহু তরুণকে স্বল্প সময়ে তাদের নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। অনেকের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে সহায়তা করেছেন। তার প্রারম্ভকালীন এখন দেশব্যাপী প্রসারিত হওয়ার পরিকল্পনাধীন।
0 Comments