ফতুল্লা থানার এসআই সৈয়দ আজিজুল হক বাদী হয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আবদুল বারী ভুইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, বিএনপি নেতা জাহিদ হাসান রোজেল, হাজী মো: শহীদুল্লাহ, সহ সভাপতি, ফতুল্লা থানা বিএনপি, হাসান মাহমুদ পলাশ, সভাপতি, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি, আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি, আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি, তুষার আহমেদ মিঠু, ছাত্রদল নেতা দোলন সহ ৩৯জন নেতাকর্মীর নামে ফতুল্লা থানায় একটি গায়েবী, ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা দায়ের করেন। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়
এই সময় বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বি এন পির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে জনগণকে রাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই সমগ্র দেশ-জাতি ও আন্তর্জাতিক মহলে একঘরে ও বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় অদক্ষতা, প্রশাসনে দলীয়করণ, রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে গালামহীন দূর্নীতি, রাষ্ট্র পরিচালনায় অতিমাত্রায় প্রশাসন নির্ভরতা, আইন, বিচার ও শাসন বিভাগে নিজেদের দলীয় লোকজন নিয়োগের মাধ্যমে সেখানে নগ্ন হস্তক্ষেপ এর মূল কারণ। এভাবে কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চলতে পারেনা। সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও প্রশাসনের লোকজন ইতিমধ্যেই সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারনায় নেমেছে ও জনমনে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এমন মিথ্যা-গায়েবী মামলা সাজাচ্ছে। তাদেরকে শুদ্ধ বাংলায় বলতে চাই আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী কোন দলীয় সরকারের গোলাম না। পরিত্র পোষাকে ঢুকে অনৈতিক, গণবিরোধ কাজ করবেন না। কারো হুকুম তাঁবেদারী করতে গিয়ে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়াবেন না। মহান রাব্বুল আলামিন আপনাদের রিজিক জনগণের দেওয়া অর্থ থেকে ব্যবস্থা করেছেন। জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত হোন। আর সরকারি সন্ত্রাসীবাহিনীকে বলতে চাই রাজনৈতিক দেউলিয়া হয়ে মাইক সামনে পেলেই আবোল-তাবোল বকবেন না। আপনারা জনগণের কাছে ইতিমধ্যেই চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছেন, সুতরাং শেষ পরিগতির ভয় করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিতে দিতে দ্রব্যমূল্যের বাজার লাগামহীন করেছেন, বিএনপির গীবত করতে করতে ব্যাংক খালি করে বিদেশে টাকার পাহাড় গড়েছেন, উন্নয়নের গান শুনিয়ে দেশের অর্থব্যবস্থার মেরুদন্ড ভেঙ্গেছেন। ওই চুরি-ডাকাতি-দুর্নীতির অর্থ জীবদ্দশায় ভোগ করে যেতে পারবেন তো? অবিলম্বে আমরা এহেন মিথ্যা ও হাস্যকর মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাই।
0 Comments