নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কামতাল গ্রামে পরকিয়া প্রেমের টানে দেড় বছরের কন্যা সন্তান রেখে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ৪ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে কামতাল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ৩বছর আগে বিয়ে করা স্ত্রী সুলতানা আক্তার (২০)
ঘটনার বিবরণে পারিবারিকভাবে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে কামতাল গ্রামের মোঃ জবেদুল্লাহ এর বড় পুত্র পোলট্রি এবং চাউল ব্যবসায়ী মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২৮) এর সাথে মালিভীটা গ্রামের আলী আকবর(৭০) এর নাতনি নুরুজ্জামান(৪৫) এর বড় কন্যা সুলতানা আক্তারের ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
উক্ত দম্পতির দেড় বছরের হুমায়রা জেসমিন নামে একজন কন্যা সন্তান আছে।
স্বামীর সরলতার সুযোগে সুলতানা তার ব্যবসায়ী স্বামীর কাছ থেকে মোবাইল সহ বিপুল পরিমাণ টাকা এবং স্বর্ণলংকার হাত করে নেয়।
সেই সাথে চলতে থাকে মোবাইলের মাধ্যমে পরকিয়া প্রেম।
একপর্যায়ে স্বামীর কাছে পরকিয়া প্রেম প্রকাশ পেলে স্বামীর সাথে বচসা শুরু হয় এবং সে হাতজোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করে ভবিষ্যতে এরকম কাজ করবেনা বলে প্রতিজ্ঞা করে।
কিন্তু গোপনে গোপনে পরকিয়া প্রেম চলতে থাকে।
গত ২২শে সেপ্টেম্বর দাদা অসুস্থতার কথা বলে স্বামীর বাড়ি থেকে গোপনে নগদ চার লক্ষ টাকা এবং পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার নজরুল ইসলাম (৬৫) এর পুত্র মোবাইল সীম বিক্রেতা আল-আমিন(২৪) এর সাথে ছোট্ট সন্তানের কথা বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বন্দর থানায় জিডি করা হয়।
পরবর্তীতে ২৯ শে সেপ্টেম্বর পুলিশের প্রচেষ্টায় পরিবারের পক্ষ থেকে সুলতানাকে চট্টগ্রাম থেকে থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
ছোট্ট সন্তানের কথা মাথায় রেখে স্বামী তাকে পুনরায় ঘরে তোলার জন্য পারিবারিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা করতে থাকে।
এমতাবস্থায় গত ২২শে অক্টোবর আবারও পরকীয়ার টানে পালিয়ে যায় সে। পালিয়ে গিয়ে স্বামী দেলোয়ার হোসেনের কাছে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেয় এবং জানায় প্রথমাবার পালিয়ে গিয়ে তারা বিয়ে করে ফেলেছে কিন্তু পুলিশ এবং পরিবারের চাপে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
এমন কুৎসিত এবং নির্মম ঘটনায় এলাকাবাসী হতবাক।
এভাবে পরকিয়ার টানে শিশু সন্তানকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহারকে দোষারোপ করছেন বিশিষ্ট জনেরা।
পারিবারিক শিক্ষার অভাবকে দোষারোপ করছেন আলেমগণ।
0 Comments