নারায়ণগঞ্জ জেলা বি এন পির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদল সভাপতি ডাঃ শাহীনকে গতরাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে গোটা জাতিকে জিম্মি করে রেখেছে। অপরদিকে তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে জনগণকে আতঙ্কিত করে রেখেছে। দূর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে একপেশে বাকশালী তথা স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে দিন দিন নিজেদের দলকে
জনসমর্থনহীন একটা ভুঁইফোড় সংগঠনে পরিণত করেছে। তারা আগামী ৭ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে নির্বাচনের নাটক করে জয়লাভের মাধ্যমে নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া। আর সে লক্ষ্যেই যা যা করণীয় তার সব করছে তারা।
এজন্য তাদের কথা মতো তাঁদেরই নিয়োগকৃত পুতুল নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনে যেসব দল অংশ নিচ্ছে তাদেরকে বিশেষ
সুযোগসুবিধাদি প্রদান ও প্রদানের আশ্বাস এবং রাজনৈতিক-প্রশাসনিক হয়রানি না করার নির্দেশের প্রেক্ষিতে নির্বাচনী নাটক সম্পন্ন করতে দলগুলোকে মাথায় তুলে নৃত্য করছে সরকারীদল। সংবিধানের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় করে এহেন নির্বাচন করার প্রচেষ্টা শুধু তাদেরকে নয় গোটা জাতিকে ভয়াবহ পরিণতির দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই আমাদের উন্নয়নের সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখা রাষ্ট্রগুলো স্বচ্ছ, সবদলের অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়েছে। কিন্তু সরকার এতে একগুয়েমী করে সবাইকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তাদের প্রভু রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় নিজেদের পথেই হাটছে,
এটা দেশ ও জাতির জন্য কতোটা ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। তবে দেশ ও জাতির অমঙ্গলে বা অকল্যাণে তাদের কিছু আসে যায়না। তারা একেকজন দূর্নীতি করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে, মোট কথা তারা
একেকজন পুকুরচুরি-ডাকাতি করে বলবান হয়ে উঠেছে। দেশ দেউলিয়া হলে, অর্থনীতি রসাতল গেলে তাদের কিছু যায় আসেনা। ডাঃ শাহীনসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, তল্লাশির নামে হয়রানি, জনগণের বাড়ীঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট, তাদের ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত করে দিয়েছে,
তারা সারাদেশের জনগণের কাছে ইতিমধ্যেই অপরাধী হয়ে গেছে, এজন্য জনগন তাদের
পাশে নেই। আর পাশে নেই ও তাদের উপর আস্থাও নেই। যার প্রমাণ ২০১৪-১৮র নির্বাচন। যেখানে ৫% ভোট পরেছিলো এবং ১৫১ জন সংসদ সদস্যকে বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে হয়েছিলো, যা ইতিহাসসাক্ষী হয়ে রয়েছে
সব অপকর্ম-অপরাধসহ সবকিছুর জন্য আইনের খড়্গ অপেক্ষা করছে। জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, আইনের মুখোমুখি হয়ে সবকিছুর জন্য জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে, সেদিন আর দূরে নয়, যেদিন সব অপরাধীর দন্ড হবে আইন আইনের গতিতে চলবে, গণতরে জয় হবে।
0 Comments