জেলা বি এন পির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন রূপগঞ্জ উপজেলাধীন চনপাড়া ইউনিট বিএনপির সভাপতি হারুন মিজির সহধর্মিনী ও সন্তানদের উপর হামলা করেছে স্থানীয় সরকারদলীয় ইউপি সদস্য শমসের আলীর ক্যাডার বাহিনী। যার নেতৃত্বে ছিলো নাজমুল ও শাওন নামের স্থানীয় ক্যাডার। তাছাড়া
গত ৯ জানুয়ারী রাতে উপজেলা যুবদল নেতা মোঃ শামীমের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে সব মালামাল পুড়িয়ে দেয়। এছাড়াও বিগত কয়েক বছর ধরে এখানে সরকার দলীয় ক্যাডাররা বিএনপি নেতকর্মীদের বাড়ী ঘরে হামলা, লুটপাট, মারধর করে চলছে। যা তারা করে চলেছে তাদের রাজনৈতিক উপর মহলের প্রকাশ্য মদদে ও প্রশাসনের চোখের সামনে।
এখানে বিগত কয়েক বছর ধরে বেপরোয়াভাবে চলছে মাদক ব্যবসা, অবৈধ অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা সহ সকল ধরনের অপরাধ। আর তাই অপরাধের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত এই এলাকা। বিগত ইউপি সদস্য বজলুর রহমানের অপকর্মের ধারাবাহিকতা রক্ষা নয় বরং এখন বজলুর রহমানের শাসনকেও পার করেছে এখনকার শাসকদলের শাসক শমসের আলী। যার মদদদাতা হিসেবে দেশের প্রিন্ট
ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সরকার দলীয় স্থানীয় সাংসদ ও তার আস্থাভাজনদের নাম এসেছে। এই চনপাড়ার ব্যপারে সবসময়ই স্থানীয় সাংসদকে এলাকাবাসী উদাসীন দেখছে।
আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি এ ধরনের ন্যাক্ক্যারদনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সরকারীদলের শাসনকর্তা ও
তাদের নেতাকর্মী-ক্যাডারবাহিনীর আচরণ দেখে মনে হয় তারা দেশকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে ওয়ারিশসূত্রে লাভ করেছে। তাই যা খুশি তাই করে চলছে। তাদের হুশিয়ার করে বলতে চাই, ভুলে যাবেননা দেশটা রক্তের বিনিময়ে কেনা। কারো
গোলামী করতে এদেশ স্বাধীন হয়নি। এদেশে সন্ত্রাস-অপকর্মের রাজত্ব কায়েমের সমস্ত ফল আপনাদের সকলকে ভোগ করতে হবে।
৭ই জানুয়ারি আমি-ডামি জাতীয় ভোট করে নিজেরা নিজেদের পাশ করিয়ে নিজেরাই নিজেকে ফুলের মালা গলায় দিলেই কি, বিশ্বের স্বার্থহীন বন্ধুরা মেনে নেবে? আপনাদের মানবে শুধু কট্টরপন্থীরা, অসুস্থরা, আপনাদের সুবিধাভোগীরা। এবং আপনাদের কাছে থেকে সুবিধা আদায়কারীরা। বাকী সাধারণ সকলেই এ ভোট প্রত্যাখান করেছে। সুতরাং একটি সংসদ বহাল রেখে আরেকটি সংসদ
গঠন করে মন্ত্রী এমপি হয়েছেন এখন জনগণের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস বন্ধ করার হুমকি, বিধবা-বয়স্ক-দুস্থ ভাতার কার্ড বন্ধ করার হুমকি, নাগরিক সকল সুবিধা বন্ধের হুমকিতেও কাজ না হওয়ার পরেও যদি আপনাদের হুঁশ না ফেরে তবে নিজেদের অপকর্ম অব্যাহত কাখতে পারেন। সময়ই সব উত্তর দিয়ে দেবে।
আর আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা, বাড়ীঘর লুটপাট বন্ধ করে কর্ম করে খান, লুটের খাওয়া ভিক্ষার চেয়েও নিকৃষ্ট। আর হামলা-লুটপাট, অগ্নিসংযোগ বন্ধ না হলে যেকোন সময় জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুললে, বা কোন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় আপনাদেরকেই নিতে হবে। প্রশাসনে থাকা প্রজাতন্ত্রের সকলকে অনুরোধ করবো আপনারা নিরপেক্ষ আচরণ করুন, আপরাধের সমর্থন করা বা সমর্থনে কিছু করা কিংবা অপরাধীকে সাহায্য করা সমান অপরাধ।
0 Comments