দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা
দলগুলো যখন আন্দোলনে ব্যস্ত ছিল, তখন ক্ষমতাসীন দলের এক সংসদ সদস্য প্রার্থীর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে নৌকার নির্বাচনে গোপনে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে তারাবো পৌর যুবদলের সদস্য সচিব কাজী আহেমদুল্লাহ (আহাদ) এর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানাজানি হলে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অভিযুক্তদের বহিষ্কার দাবি করেছেন। তবে
অভিযুক্তরা ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে মেহেদী হাসান নামের একটি আইডি থেকে সাদেক ও আহাদের ছবি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস
লেখা হয়। যেখানে বলা হয় মাত্র আড়াই লাখ টাকা
নিয়ে নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে নৌকার নির্বাচন করলেন তারাবো পৌর যুবদলের সদস্য সচিবআহাদ। তারাবো পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়ালের সাথে মিটিং করেন স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায়। পরবর্তীতে কাজী আহাদের নিজের বাসায় আউয়ালের সাথে দ্বিতীয় মিটিং করা হয়।
এবং আওয়ামী লীগ নেতা বালু হাবিবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে টাকার অঙ্ক চূড়ান্ত করা হয়। নৌকার পক্ষে নির্বাচন করতে প্রথম দফায় দুই লাখ ও দ্বিতীয় দফায় আরো ৫০ হাজার টাকা নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে তারাবো পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আফজাল কবির বলেন, আমি শুনেছি এবং দেখেছি। কিন্তু আমার কাছ থেকে ডকুমেন্ট নেই। আমি এ ব্যাপারে কোন কিছু
জিজ্ঞেস করিনি। এটা সিনিয়ররা দেখবেন। যদি এ রকম হয়ে থাকে তাহলে দুঃখজনক। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেহেতু বয়কট করেছেন, সেহেতু এটা মেনে নেয়ার মতো নয়। যদি কেউ টাকা নিয়ে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করে থাকে, তাহলে তা নীতি নৈতিকতা বিরোধী।
এটা নিয়ে তৃণমূলে অনেক কথা হচ্ছে। আমাকে
অনেকেই ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা
সিনিয়র দের সাথে আলাপ করবো।
তিনি আরো বলেন, এসব কাজ কেউ ডকুমেন্টস রেখে করে না। তবে এটাও 'যা কিছু রটে কিছু না কিছু বটে'। সত্য কখনো চাপা থাকে না। হয়তো কিছু একটা ঘটেছে তাই এমন কথা চাউর হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তারাবো পৌর যুবদলের সদস্য
সচিব কাজী আহেমদুল্লাহ্ (আহাদ) জানান, আমি কখনো আতাতের রাজনীতি করি না। যে আইডি থেকে এটা ছড়ানো হচ্ছে সেটা আইডিটা ফেইক আইডি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে উঠা-বসা বা ব্যবসা নেই আমার। আমি তাদের সাথে চা পানও করি না। আমি পারিবারিকভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।
আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। যেখানে আমার দল নির্বাচন বয়কট করেছে, সেখানে নৌকার প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নির্বাচন করার প্রশ্নই উঠে না। এটা ডাহা মিথ্যে কথা
0 Comments