সোনারগাঁয়ে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি না থাকায় মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ইউনিয়নবাসী।



আলআমিন কবির সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ। 

  -সন্ধ্যা নামার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নে দেখা দিচ্ছে মশার উপদ্রব। স্থানীয়দের জনজীবন মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। মশার উপদ্রব এতটাই বেড়েছে যে এলাকাবাসী রীতিমতো ডেঙ্গু ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মশার যন্ত্রণায় ব্যাহত হচ্ছে পড়াশোনা।

সচেতন মানুষ বলছেন- মশক নিধন কর্মসূচি না থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে।



বাড়ী মজলিস,বন্দরা,সাদিপুরসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, মশার উপদ্রবে সন্ধ্যার পর ঠিকভাবে কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিকাল হলেই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও নিস্তার মিলছে না। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে বেশি বিপাকে আছেন অভিভাবকেরা। অত্র এলাকায় যত্রতত্র ময়লার স্তুপ, ড্রেনে জমে থাকা পানি ও ময়লা পরিস্কার না করার কারণে মশা বৃদ্ধি পেয়েছে।এছাড়াও চৈতি কম্পোজিট, কংকা,এসিআই ও সাদিপুরে অবস্থিত এজে প্যাকেজিং মেইল এর এসিডের পানিসহ ময়লা পানি খালে নেমে পানি দূষিত করে মশার উপদ্রব আরো বাড়াচ্ছে বলে জানা যায়। 



সাদিপুর এলাকার ওহাব মিয়া তিনি আজকের সংবাদ ডটকম কে বলেন, দিনে রাতে সমানতালে উপদ্রব চালাচ্ছে মশা। ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশা নিধনে কোনো কর্মসূচি চোখে পড়ে না। দেশজুড়ে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করলেও মশক নিধন অভিযান চালানো হয়নি। যদি মশা নিধনে এখনই কোনো ব্যাবস্থা নেয়া না হয় তাহলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ নানা সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। আসলে জনগণের প্রতি কর্তৃপক্ষের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।



ক্ষোভ প্রকাশ করে আবু সিদ্দিক বলেন, সারাদিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই কাজ করি। কিন্তু মশার উৎপাতে ঠিকমতো কাজ পারি না। মশা তাড়াতে কয়েল ব্যবহার করেও কাজ হয় না।



ব্যাবসায়ী তাঈন আহমেদ রাতুল বলেন, মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম। সন্ধ্যা নামলেই মশা কানের পাশে গান বাজাতে থাকে। সারাদিন ব্যবসার কাজে ব্যাস্ত থাকার পর বাড়িতে গিয়েও শান্তি নেই মশার জন্য। কয়েল জ্বালিয়ে মশা তাড়াতে হয়। বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দেশজুড়ে। তাই সংশ্লিষ্টদের মশা নিধনের ব্যাপারে কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিৎ।



জানতে চাইলে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু আজকের সংবাদ ডটকম কে বলেন, আমাদের মশক নিধনে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি নাই, আগামী পরশুদিন মাসিক মিটিংয়ে এ নিয়ে উত্থাপন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি সকলের বাড়ির আশপাশের ময়লা আবর্জনা যথা সময় পরিস্কার করতে। একই সাথে এলাকার সকল নাগরিকদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

Post a Comment

0 Comments