আলআমিন কবির সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ!
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নজরুল ইসলাম বাবু জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত হওয়ায় সোনারগাঁও বাসীর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদান করলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁও আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল্লাহ- আল কায়সার হাসনাত এমপি!
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু জাতীয় সংসদের হুইপ হওয়ার পরে বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত আবেগময় মুহূর্ত। যখন আমাকে হুইপ হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়, তখন খুশিতে চোখে পানি চলে আসে। দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার লক্ষ্য হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব দিয়েছেন তা পূরণ করা। কার্যপ্রণালী অনুযায়ী জাতীয় সংসদকে প্রাণবন্ত রাখার পাশাপাশি আমাদের রাজনৈতিক মেনিফেস্টো অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথ মসৃণ করে এগিয়ে যেতে আমরা কাজ করব।
গত বুধবার সাড়ে ১২টার দিকে সংসদ সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এলাকায় অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার পাশাপাশি বিশনন্দীতে মেঘনা নদীতে তৃতীয় বৃহত্তম সেতুর নির্মাণকাজ দ্রæত চালু করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন।
তিনি সংসদের হুইপ হওয়ায় আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে আড়াইহাজার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
এসময় নারায়ণগঞ্জ -৩ সোনারগাঁও আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতির তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজপথের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা নজরুল ইসলাম বাবু। তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ হয়েছেন এটি অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। আড়াইহাজারের উন্নয়ন ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিনি কাজ করে যাবেন বলে সকলের চাওয়া।
নজরুল ইসলাম বাবু ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ-২ ( আড়াইহাজার) আসনের এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।
তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে ছাত্রজীবনের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন। তিনি নব্বইয়ে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করে সাড়ে তিন মাস কারাবরণ করেন। ১৯৯৪ সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফেরার পথে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন এবং ডান্ডাবেড়ী পরা অবস্থায় দীর্ঘ ১১ মাস কারাবরণ করেন। কারাবরণ অবস্থায়ই তিনি কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে ওই বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনিও গ্রেনেড হামলার শিকার হন। ২০০৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রথম তরুণ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
0 Comments