টিটুর চোখের চতুর্থবারের মতো অপারেশন দেখতে গেলেন গোলাম ফারুক খোকন



নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বাম চোখে কোন কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। বাম চোখের চতুর্থবারের মতো অপারেশন করালেন টিটু সেই খবর পেয়েই টিটুকে দেখতে ছুটে গেলেন জেলা বি এন পির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।


উল্লেখ্য গতবছর  মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকালে ঢাকার বনানী আই হসপিটালে তার চোখের দ্বিতীয় দফায় অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। টিটুর বাম চোখে থেকে একটি স্প্রিন্টার বের করা হয়েছে। এই চোখে আরও দুটি স্প্রিন্টার রয়ে গেছে। ডান চোখে প্রথম দফায় ল্যাসিক অপারেশন করা হয়েছে। এর আগে সোমবারও একটি অপারেশন হয়েছে তার। 



এদিকে বিএনপি নেতা টিটুর চোখে গুলি নিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন গন মাধ্যমকে  বলেন, টিটুর যেখানে অপারেশন হচ্ছে সেই হাসপাতালেই আছি। চতুর্থবারের মত অপারেশন হলো টিটুর আপনারা সবাই টিটুর জন্য দোয়া করবেন।


 টিটুর দুটি চোখ মনে হয় নষ্টের পথে। সে বাম চোখে দেখছেই না। আর ডান চোখে ঝাপসা দেখছে। তার বাম চোখ থেকে শুনলাম একটি স্প্রিন্টার বের করা হয়েছে। চোখে জমে থাকা রক্ত বের করা হয়েছে। আরও অপারেশন বাকি রয়ে গেছে। 


তিনি অভিযোগ করে বলেন, গতবছরের  শনিবার আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সিদ্ধিরগঞ্জে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোড়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত ঢাকার প্রবেশ পথে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছিলাম। সেইখানে বিনা উস্কানিতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তার নির্দেশে আমাদের ওপর গুলি করা হয়। সেখানেই বিএনপি নেতা টিটুর চোখে গুলি লাগে। পুলিশ কর্তৃক এ গুলির প্রমানপত্র আমার কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের কাছে জমা দিয়েছি।


এগুলো আর্ন্তজাতিক তদন্ত দাবি করা হচ্ছে। কারণ এখানে কোন তদন্ত ও বিচার হচ্ছেনা।  মাফিয়া সরকার এর কারনে আজ আমরা অসহায় গুলি করে মারলেও দেখার কেউ নেই।



প্রসঙ্গত এর আগে গত বছর  শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ বাংলা মোড়ে দলের কেন্দ্র ঘোষিত ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচী পালনের জন্য উপস্থিত হলে বিএনপি নেতাদের মূল সড়কে উঠতে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় বিএনপি নেতাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে নেতারা ইটপাটকেল ছুড়লে গুলি করে পুলিশ। 



এতে ছিটা গুলির স্প্রিন্টার গিয়ে লাগে টিটুর দুই চোখে। পরে গুরুত্বর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পরদিন রবিবার (৩০ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুমিনুল হক বাদী হয়ে ২৩ বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৭ জনকে।

Post a Comment

0 Comments