JB Bangla TV
সৈয়দ মুনিরুল হক নোবেল
জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন মনুর ইয়াবা সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অন্য কোনো দলের কর্মীরা নয়, তার নিজ দলের নেতাকর্মীরাই তার ইয়াবা সেবনের একাধিক ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেছেন। আর এ ভিডিও ক্লিপ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা নানা মন্তব্য করছেন।
ওই নেতার ইয়াবা সেবনের ভিডিওসহ তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি কেন্দ্রীয় এক নেতার কারণে। ওই নেতা কেন্দ্রে বসেই উপজেলার কর্মপরিকল্পনা ঠিক করেন। ফলে দিন দিন ধ্বংসের পথে চলছে দলের কর্মকাণ্ড।
জানা যায়, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন মনুর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ এনে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন মেলান্দহ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়করা। অভিযোগ আনার পর মেলান্দহ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করে জেলা যুবদল। এছাড়া জেলা যুবদল গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর জেলা যুবদলের সভাপতি ফিরোজ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান স্বাক্ষরিত একপত্রে উপজেলা যুবদলের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
দলের একাধিক নেতাকর্মীদের অভিযোগ জেলার নেতারা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করার ফলে মনোয়ার হোসেন মনু পড়েন বেকায়দায়। তার ইয়াবা সেবনের অর্থের জোগান দিতে ইউনিয়নের নেতাদের টোপ হিসেবে বেছে নেন। দলের ত্যাগীদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাকরিজীবীকে দলের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক করে নতুন ইউনিয়ন কমিটি দেন। ফলে দলের মধ্যে হতাশার ছায়া নেমে আসে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবদলের এক নেতা বলেন, মেলান্দহ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন মনুর ইয়াবা সেবনের কাণ্ড দেখে সবাই হতবাক। মেলান্দহ উপজেলার যুবদল ও প্রতিটি ইউনিয়ন যুবদলের সবস্তরের নেতাকর্মীসহ বিএনপি ও তার সব অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। নেশার টাকা জোগাতে প্রতিটি ইউনিয়নের দুই থেকে তিনজন আহ্বায়ক ও একাধিক যুগ্মআহ্বায়ক প্রার্থীর কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা নিয়েছে। তারপর দেড় বছর ঘুরিয়ে ঈদ ও লকডাউনের সুযোগ নিয়ে গত ২২ জুলাই ডেকে নিয়ে ৩০ দিন মেয়াদের কমিটি হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে অন্যদের চাপে পড়লে বাধ্য হয়ে ৩১ জুলাই ১১টি ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য হন।
অপর এক নেতা বলেন, ঝাউগড়া ইউনিয়ন কমিটির আহ্বায়ক জলিল চট্রগ্রামে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ড্রাইভার হিসেবে বতর্মানে কর্মরত। এ রকম প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে অযোগ্য, দলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। যা শুধু টাকার বিনিময়েই পকেট কমিটি সাজিয়েছেন। এ অবস্থায় শুধুই হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে নেতারা।
ক্যাপশনঃ ইয়াবা সেবন করছেন জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন মনু।
0 Comments