(স্টাফ রিপোর্টার) আবু বকর সিদ্দিক:
দেশের সব জেলা থেকে এখন আয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। এ জেলায় সবচেয়ে কম হতদরিদ্র মানুষ বসবাস করে। অর্থ্যাৎ এ জেলার বেশির ভাগ মানুষের বাস দারিদ্র্যসীমার ওপরে।
কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, হতদরিদ্র কম থাকলেও শিক্ষায় সবচেয়ে পিছিয়ে আছে নারায়ণগঞ্জ। সরকারের এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। এই সমীক্ষাতেই দেশে প্রথমবারের মতো ধর্মভিত্তিক ধনী-গরিবের হার কত, তা বের করা হয়েছে। একই সঙ্গে তুলে আনা হয়েছে জাতিগত ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যকার দারিদ্র্যের হারও।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) ও যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে এ সমীক্ষাটি করিয়েছে।
ধর্ম ও জাতিগত ক্ষুদ্র জাতিসত্তাভিত্তিক দারিদ্র্যের বর্তমান অবস্থা নির্ণয়ের কারণ হিসেবে বিআইডিএস বলছে, জাতিসংঘঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) কাউকে পিছিয়ে না রেখে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে সব দেশ অনুস্বাক্ষর করেছে, যাতে দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যায়।
সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এখন হতদরিদ্রের সংখ্যা সবচেয়ে কম নারায়ণগঞ্জে, যা শতকরা হিসাবে মাত্র ১ শতাংশের নিচে। অথচ এই জেলাতেই কিনা ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ১৮ দশমিক ৪২ শতাংশই স্কুলে যাচ্ছে না। অর্থাৎ জেলাটিতে স্কুলে যাওয়ার মতো প্রতি ১০০ শিশুর মধ্যে ১৮ জনই পড়াশোনার মধ্যে নেই। স্কুলে যায় ৮১ দশমিক ৫৮ শতাংশ শিশু।
নারায়ণগঞ্জ আয়ে সবার শীর্ষে, অথচ শিক্ষায় সবচেয়ে পিছিয়ে কেন এমন হয়েছে জানতে চাইলে সমীক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলফিকার আলী বলেন, এটি একটি শিল্প এলাকা, যেখানে রয়েছে নানা ধরনের কলকারখানা। ফলে সেখানে আয়ের উৎস বেশি।
কিন্তু আয় বেশি হলেই যে অভিভাবকেরা শিক্ষায় গুরুত্ব দেবেন, তা না-ও হতে পারে। কাজের প্রচুর সুযোগ থাকায় অনেক পরিবারই তাদের সন্তানদের কাজে নামিয়ে দিচ্ছে।
0 Comments