শহীদুজ্জামান আতিফঃ
প্রধান শহরের সাথে নারায়ণগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের যোগাযোগের একমাত্র পথ জেলা পরিষদ টু কায়েমপুর সড়কটির ভয়াবহ খারাপ অবস্থা। কোথাও রাস্তা ভাঙা, কোথাও রাস্তার মাঝেই বৈদ্যুতিক তারের খুটি, আবার কোথাও খুটি অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায় বেকে আছে খালের উপরে। একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় অতিষ্ট জনসাধারণ। ভাঙা রাস্তা, রাস্তার মাঝে বৈদ্যুতিক তারের খুটি এখন এই পথে যাতায়াতকারীদের জন্য দুর্ভোগ ও ভোগান্তির প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে নাজেহাল অবস্থা। চলাচলের সময় একজন গাড়ির ড্রাইভার পথের ভাঙা অবস্থা লক্ষ্য না করলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এমনকি এখানে বিগত সময়ে অগনিত দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী একজন অটোরিক্সা ড্রাইভার উজ্জ্বল বলেন, রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুটি থাকার কারণে এর দুই দিক দিয়েই যখন গাড়ি আসে তখন বিপরীত দিকের গাড়ির যাওয়ার কোনো রাস্তা থাকে না। এই কারনে আমি একবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি। অল্পের জন্য আমার গাড়িটি পাশে থাকা খালের পানিতে গিয়ে পড়েনি।
স্থানীয় এক ফার্মেসির ডাক্তার জাহাঙ্গীর বলেন, এখানে রাস্তার ভাঙা অংশ গুলো যানবাহন চালকদের নজরে আসে না। যার ফলে রিক্সা, অটোরিক্সা গুলো দুর্ঘটনার শিকার হয়।
তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনার শিকার অনেক আহত ব্যক্তিদের আমি প্রাথমিক চিকিৎসা করেছি।
দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ শান্তর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি নিজেও এই সড়ক এবং বৈদ্যুতিক খুটি নিয়ে সংবাদ করেছিলাম। সংবাদ সূত্রে, আমি স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এবং ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। উনারা বলেছিলেন যতদ্রুত সম্ভব এই বিদ্যুৎ খুটি সরানোর ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু এই বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ দেখিনি।
৮নং ওয়ার্ডের সর্বোসাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে আতংক, দুর্ভোগ এবং বিরক্তির নাম হয়ে দাড়িয়েছে কায়েমপুর টু জেলা পরিষদ রোডটি। এর থেকে মুক্তি চায় সমগ্র ওয়ার্ডবাসী।
0 Comments