মোঃ শহীদুজ্জামান আতিফ, অনলাইন ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম হুড়হুড়িয়ে বাড়ছে। বাজারের কোনো পন্যদ্রব্যের দামই নিম্নমুখী নয়, সকল পন্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পেয়াজ, আটা, সবজি, তেল, চিনি ও মুরগীর দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে।
ধীরে ধীরে আবারো বেড়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের দিগুবাবুর বাজার সহ সকল পাইকারী কাচা বাজারগুলোর পন্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আমদানি করা পেয়াজেরও দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ টাকা। কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে আদার দাম।
সবজির বাজারও চওড়া। যেকোনো ধরনের সবজি কিনতে মানভেদে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা খরচ হচ্ছে। শতকের ঘর ছাড়িয়েছে কাচামরিচ, টমেটো, সিম ও গাজর। করলা ৫০ টাকা (কেজি), সিম ১৩০ টাকা (কেজি), শসা ৬০ টাকা (কেজি), বেগুন ৪০ টাকা (কেজি), লাউ ৪০-৫০ টাকা (কেজি), ইন্ডিয়ান টমেটো ১০০ টাকা (কেজি), চায়না গাজর ১৮০ টাকা (কেজি)।
মসলার বাজারে বাড়তি দামে বিক্রিত হচ্ছে তেল, চিনি ও মসুর ডাল। খোলা চিনি ৮০ টাকা (কেজি) এবং কোম্পানির চিনি ৮৫ টাকা (কেজি), রূপচাঁদা পাঁচ লিটার তেল ৬৬০ টাকা এবং বসুন্ধরা পাঁচ লিটার তেল ৬৭০ টাকা।
লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে মুরগীর দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে সব ধরনের মুরগী। ব্রয়লার মুরগী ১৮০ টাকা (কেজি) এবং পাকিস্তানি কক মুরগী ৩৩০ টাকা (কেজি)
সরেজমিনে, দিগুবাবুর বাজারের দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোম্পানি প্রদত্ত যে নির্ধারিত কমিশন পাইকারি দোকানদারদের দেওয়া হতো সেই কমিশনের পরিমান বিভিন্ন কোম্পানি কমিয়ে দিয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের নিজেদের মুনাফা বজায় রাখতে অধিকাংশ ব্যবসায়ী পন্যের দাম বৃদ্ধি করেছে।
প্রয়োজনীয় পন্যদ্রব্যের বাড়তি দামের কারণে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোতে পড়ছে হাহাকার।
0 Comments