ভোট হচ্ছে না ডিসেম্বরে সিটি করপোরেশনের


 পলাশ সেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ



নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে পিছিয়ে জানুয়ারিতে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। জেলা পরিষদের নির্বাচন আয়োজন না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তবে কয়েকটি জেলার সব ধরনের ভোট ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হলে বিচ্ছিন্নভাবে সেগুলোতে ভোট করবে। খবর যুগান্তরের।


সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কার্যালয়ে এ অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ছাড়া বাকি কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের বিষয়টি ‘অভ্যন্তরীণ’ আখ্যায়িত করে এ প্রসঙ্গে তারা আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

নির্বাচনি পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ যুগান্তরকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে কমিশনের একটি সভা হওয়ার কথা। সেখানে এ বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত হবে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইসি সচিবালয়ের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর কমিশনের ৮৬তম সভায় দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল চূড়ান্ত করা হয়। ওই সব ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ১১ নভেম্বর ভোট হবে। এছাড়া অক্টোবরের ৩ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে যে কোনো একদিন তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এমনও ইঙ্গিত দেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। ওইদিন সভা শেষে সিইসি কেএম নূরুল হুদা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সব ইউনিয়ন পরিষদ ও জানুয়ারিতে জেলা পরিষদে ভোট করার পরিকল্পনা আছে।

সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে নভেম্বরে। ভোট হবে জানুয়ারিতে। এ সিটির ভোট ডিসেম্বরে করার পরিকল্পনা ছিল। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন এই কমিশন আয়োজনের পরিকল্পনা মাথা রাখলেও সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জেলা পরিষদ নির্বাচনও আয়োজন করবে না এই কমিশন। এর যুক্তি হচ্ছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ করতেই ডিসেম্বর লাগবে। এতে জয়ী জনপ্রতিনিধিদের গেজেট প্রকাশ হতে আরও কয়েকদিন সময়ের প্রয়োজন হবে। এ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরাই জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। সেই কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনের সুযোগ পাবে না এই কমিশন। প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments