কক্সবাজার: নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনাটি ‘সন্দেহজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে এসপি মো. হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী গত দুই মাসে তিনবার কক্সবাজার এসেছেন।
এর আগেও দুই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ওই নারী। তাই বিষয়টি একটু সন্দেহজনক।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর স্বামী। বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করা হয়। এতে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে চারজনকে। আর অজ্ঞাতনামা আসামি দুই-তিনজন।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন মো. আশিকুর রহমান, মেহেদি হাসান বাবু, মো. ইসরাফিল ও হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
এসপি মো. হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিকেলে র্যাব-১৫ জানায়, এ ঘটনায় ‘জিয়া গেস্ট ইন’ হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে (৩৩) আটক করা হয়েছে। তিনি অপরাধীদের সহযোগী।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী নারী পর্যটক বলেন, এক ব্যক্তির সহায়তায় তিনি দরজার লক খোলেন। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে বলা হয়, থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে। এরপর এক ব্যক্তির সহযোগিতা তিনি কল দেন র্যাব-১৫-তে। তখন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামের হোটেল থেকে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে নারী পর্যটক ও তার স্বামী-সন্তানকে উদ্ধার করা হয়। এ ধর্ষণের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও খোঁজখবর নিয়ে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসেন ওই নারী পর্যটক। তারা ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক তরুণের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে, এ ঘটনায় তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়।
0 Comments