এবারের বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে একজন করে খেলোয়াড়কে সরাসরি কেনার সুযোগ ছিল দলগুলোর। কিন্তু সেই সুযোগ পেয়েও কোনও দল তামিম ইকবাল ও মাশরাফি মুর্তজাকে নেয়নি। তবে ঢাকায় সরাসরি যুক্ত হওয়া মাহমুদউল্লাহ প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকেই তামিম ও মাশরাফিকে দলে ভিড়ান। তামিমকে প্রথম রাউন্ডেই নিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ। আর মাশরাফিকে নেন তৃতীয় রাউন্ডে গিয়ে। দল পাওয়ার পর ঢাকার জন্য নির্ধারিত টেবিলে বসে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পছন্দের খেলোয়াড় বাছাই করেছেন তামিম। তাদের দেখে কোনোভাবেই মনে হওয়ার কথা নয় দুজনের দ্বন্দ্ব আছে!
প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে প্রশ্ন এলো তামিম-মাহমুদউল্লাহর ‘দ্বন্দ্ব’ নিয়ে। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘অনেক কিছুই আমার হাতে নেই। অনেকেই অনেক কিছু ভাবে। আমি সবসময় আমার তরফ থেকে বিশ্বাস করতাম যে বন্ডিং বা রিলেশন, সবসময়ই ভালো ছিল এবং আছে। এ নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই।’
সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘সবসময়ই বিশ্বাস ছিল আবার একসঙ্গে খেলতে পারবো। আলহামদুলিল্লাহ আবার একসঙ্গে খেলতে পারছি। তামিমও আমাদের সঙ্গে আছে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা আমাদের টিমে বেশি। আশা করি মাঠে যদি এটা কাজে লাগাতে পারি, আমাদের ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা আছে।’
তামিমও উড়িয়ে দিলেন দ্বন্দ্বের গুঞ্জন। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘এটাই (মনোমালিন্য) যদি হতো... তাহলে আমি ছোট্ট একটা গল্প বলি। তাতেই আপনারা উত্তর পেয়ে যাবেন। আমাকে তো ড্রাফট থেকে নেওয়া হয়েছে। রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাইকে আইকন হিসেবে (ড্রাফটের আগেই) নেওয়া হয়েছে। আমাকে দলে নেওয়ার পরই রিয়াদ ভাই ফোন করে বললেন, ‘তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়।’ আমাদের সম্পর্ক যদি এতই খারাপ থাকতো, তাহলে তো আমি এখানে আসতাম না। তাই না?”
তামিমের পর মাশরাফিকে দলে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবারই প্রথম বিপিএলে একসঙ্গে খেলতে যাচ্ছেন। বিশেষ করে, মাশরাফিকে পেয়ে দারুণ খুশি মাহমুদউল্লাহ, ‘এটা আমরা সবসময় উপভোগ করি, মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে খেলা বা উনার অধীনে খেলা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ যেটি হলো, তখনও খুব ভালো সময় আমরা কাটিয়েছি এবং ভালো ক্রিকেটও খেলতে পেরেছি। আশা করি, ওইরকম ভালো একটা পরিবেশ যেন এই দলেও তৈরি করতে পারি এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি।’
0 Comments