সভায় নানক সতর্ক করে বলেন, ‘যারা নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তারা নৌকার পক্ষে কাজ না করলে সেটি নিজের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। দলের ভেতরে কোনও দ্বিধাদ্বন্দ্ব বা বিভক্তি নেই। এই সভায় জেলা ও মহানগরের সব নেতৃবৃন্দ আছে। এখানে ব্যক্তি কোনও বিষয় নয়। কেউ দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সেটি তার ওপর বর্তায়। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে দলের কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
’জাতীয় পার্টির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদেরও সমর্থন আশা করি। নৌকার সমর্থন নিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে নারায়ণগঞ্জ সদর আসনে পাস করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। অথচ তারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।’
সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি মহাজোটের অংশ। সিটি নির্বাচনে তারা একজনকে সমর্থন দিয়েছে। রাজনীতি শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নয়। কেউই অপরিহার্য নয়। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেবেন আমরা তাদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না। জাতীয় পার্টি তৈমুরের পক্ষ নিয়েছে। জোটগতভাবে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দীয়ভাবে আমারা জাতীয় পার্টির সঙ্গে কথা বলেছি। আজ-কালের মধ্যে তারা গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করবেন।’
0 Comments