নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, এইবারের মৃত্যু বার্ষিকীটা আমাদের পরিবারের জন্য কষ্টের বেশী। কারণ কিছুদিন আগে একটা ঘটনা ঘটেছিলো কবরস্থানে। আমি সব ধর্মকেই সম্মান করি আমি। সব ধর্মকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে শিখিয়েছে ইসলাম। যারা কবরে আছেন তাদের কোন ক্ষতি হয়নি। কিন্তু আমাদের বুকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন তারা শান্তিতে আছেন। এই কথা শুনে আমি শান্তি পেলেও আমরা তো সন্তান। কষ্ট তো অনুভুত হয়। তবুও খুব বেশী কিছু চাইনি। শুধু চেয়েছি যারা এই কাজটি করেছে তারা গোপনে বা একজনের সামনে আল্লাহর কাছে যেন মাফ চান। তারা মাফ না চাইলেও আমি দোয়া করি আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুক।
২০ ফেব্রুয়ারী রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় প্রয়াত একেএম শামসুজ্জোহা’র মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া মিলাদ মাহফিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শামীম ওসমান এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি চাইলে কোন মাঠ বা স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে পারতাম। কিন্তু আমাদের নেক্সট জেনারেশন যেন এই এলাকায় এই আয়োজনের ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারে সেজন্যে এই মসজিদে আয়োজন করা। মহল্লাবাসীর কষ্ট হওয়ায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
শামীম ওসমান স্মৃতি চারণ করে বলেন, আজকের এই দিনে আমার আব্বা ও জালাল হাজী (সাবেক বিএনপি সাংসদ) ইন্তেকাল করেছিলেন। তাদের দুজনের জানাজা একসাথে হয়েছিলো। আপনাদের সবার কাছে ভিক্ষা চাই আমার আব্বার জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুক। আর আমি আমার ভাই ও আমার পরিবার যদি কখনও কাউকে জেনে না জেনে কষ্ট দিয়ে থাকি বা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, এমনকি যারা আমার বিরোধী দল বা আমার দুশমনি করেন, তিনিও যদি আমার মাধ্যমে কষ্ট পেয়ে থাকেন। তাহলে আমি হাত জোড় করে ক্ষমা চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দিবেন।
0 Comments