(গাজীপুর প্রতিনিধি) হেলেনা আক্তারঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা, মা, ভাই ও স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর নাম মোছা. সুফিয়া খাতুন (১৮)। তিনি শ্রীপুরের দুর্লভপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। সুফিয়া খাতুন তাঁর দ্বিতীয় স্বামী মো. শাকিলের সঙ্গে ছাপিলাপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাত একটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সুফিয়া খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সুফিয়ার লাশ উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ আগে সুফিয়ার স্বামী শাকিল সুফিয়াকে ওই হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে এ বিষয়ে হাসপাতালের দায়িত্বরত কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে শ্রীপুর উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান শেখ বলেন, ওই গৃহবধূর গলায় থেঁতলানোর দাগ পাওয়া গেছে। এটা পরিকল্পিত হত্যা না আত্মহত্যা, সেটা ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাবে না। নিহত নারীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সুফিয়ার ভাই সোহেল রানা বলেন, গতকাল রাত তিনটার দিকে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে বোনের মৃত্যুর খবরটি জানিয়েছে। প্রায় এক বছর আগে শ্রীপুরের দরগারচালা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. মোকাররম হোসেনের সঙ্গে তাঁর বোনের বিয়ে হয়েছিল। তবে বিয়ের ছয় মাস পর শাকিলের সঙ্গে তাঁর বোনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে শাকিলকে বিয়ে করেন সুফিয়া।
পরে সোহেল রানা তাঁর বোনকে নিয়ে আসার জন্য শাকিলের বাড়িতে গেলে সুফিয়া তাঁকে ভাই হিসেবে অস্বীকার করেন। এর পর থেকে বোনের সঙ্গে তাঁর খুব বেশি যোগাযোগ নেই বলে সোহেল রানা দাবি করেন। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সুফিয়া বেগম শাকিলের সঙ্গেই থাকেন বলে তিনি জানান।
শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, স্বামী, বাবা, মা ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
0 Comments