ফতুল্লায় ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্কুল শিক্ষক গ্রেপ্তার


ফতুল্লায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আরিফুল ইসলাম জনি (৩৫) নামে এক স্কুল শিক্ষককে  গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে তাকে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকা থেকে  গ্রেপ্তার করা হয়।


 


গ্রেপ্তারকৃত জনি রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার সারদা চারঘাট মিয়াপুরের মোঃ দুলাল হোসেনের পুত্র ও ফতুল্লা থানার ইসদাইর গাবতলীস্থ  রুহুল আমিন মিয়ার ভাড়াটিয়া। ফতুল্লার সস্তাপুর কমর আলী হাই স্কুল এন্ড কলেজে (খন্ডকালীন) শিক্ষক।  



সপ্তাপুর এলাকার জামালের ৫ম তলা বিল্ডিং এর ২য় তলার একটি ফ্ল্যাটে আরিফ কেয়ার সেন্টার নামীয় কোচিং সেন্টার রয়েছে তার। যা সে নিজেই পরিচালনা করে আসছে। 



ভুক্তভোগী ছাত্রীটির অভিযোগ, গ্রেপ্তারকৃতের কোচিং সেন্টারে সে কোচিং ক্লাস করাকালীন সময়ে তাকে প্রায় কু-প্রস্তাব দিতো। বিগত সাত মাস পূর্বে গ্রেপ্তারকৃতের স্ত্রীকে সে বিষয়টি অবগত করলে সে তার কথা আমলে না নিয়ে উল্টো দোষারোপ করে।


 


ফলে সে কোচিং সেন্টারে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। গত ১৪/১৫ দিন পূর্বে স্কুলের ভিতর  গ্রেপ্তারকৃত আরিফুল ইসলাম জনি তাকে বলে যে যদি সে পুনরায় তার কোচিং সেন্টারে কোচিং না করে তাহলে এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করবেনা।  



তাছাড়া অতিতের মতো আচরন ও সে আর করবেনা। তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে সে আবার কোচিংয়ে যাতায়াত শুরু করে। প্রতিদিনের মতো সে  বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুর তিনটার দিকে কোচিং সেন্টারে যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কোচিং সেন্টারের ক্লাস  ছুটি হলে কোচিংয়ের সকল কে ছুটি দিলেও তাকে কথা আছে বলে থাকতে বলে। 



 


সকলে চলে গেলে দরজা বন্ধ করে দিয়ে আরিফুল ইসলাম জনি তাকে জড়িয়ে ধরে তার স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে হাত বুলায়। এ সময় সে ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে দরজা খুলে কৌশলে পালিয়ে যায়।



এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, শ্লীলতাহানির চেস্টার অভিযোগে ছাত্রীটি মামলা করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক কে শুক্রবার সকালে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments