মহানগর আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক এডভােকেট খােকন সাহা বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতারী পরােয়ানায় ফেসবুকে নেতাদের তীব্র প্রতিবাদ।


 মহানগর আওয়ামিলীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম ফেসবুকে স্ট্যাটাস বলেন পত্র পত্রিকা টিভিতে বিভিন্ন আলাপ আলোচনায় শুনতে পাচ্ছি দেশে নাকি মহা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ঐদিন দেখলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্যে উনি শ্রদ্ধা ভরে বিশ্বাস ঘাতক খন্দকার মোশতাকেও স্মরন করলেন। এটা নিয়ে সভাপতির বক্তব্য নিয়ে তুমুল সমালোচনা করা হচ্ছে,, সভাপতির কুশপুত্তলিকা দাহ করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ এটা নিয়ে বলছে না ওনাকে সভাপতি বানানোর পিছনে যারা কাজ করেছে তারা কারা??আসলে আমরা হয়তো মুল জায়গায় যেতে পারছি না।আসলে এ দলটা চালাচ্ছে কে?? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাতৃতুল্যো নেত্রী বিশ্বমানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার বাইরে এই দলের তৃনমুলের আশ্রয়ের জায়গা কোথায়??? ৩০/৪০/৫০ বছর যাবৎ যারা রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করছেন এদের মূল্য কোথায়?? দলে এখন জায়গা হচ্ছে ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার,,জজ,ব্যারিস্টার ডক্টরেট করা লোকদের। তৃনমুলের তো কোন স্টাটাস নাই,, ওদের গায়ে ঘামের গন্ধ,, ময়লা পোশাক রিক্সায় কিংবা বাসে চলে ওরা। এদের গায়ে তো কোন ব্রান্ডের কাপড় নাই,,দামী পারফিউম এর গন্ধ আসে না এদের গা থেকে। হাতে থাকে না দামী ঘড়ি। নতুন মডেলের গাড়ি থেকে এরা নামে না। ওরা তো আনকালচারড, আনসোশাল,,ওদের তো মূল্য দেয়ার কিছু  নাই।কিন্তু জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানেন ওরাই দলের মুল চালিকা শক্তি,, ওরাই দলের দূঃসময়ে বোকের তাজা রক্ত দিয়ে জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে ওরাই নতুন করে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বানানোর জন্য। এই তৃনমুলই দলের অক্সিজেন এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন ও বুঝেন। আমি ছোট মানুষ মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের  মাতৃতুল্যো নেত্রী শেখ হাসিনা আপা দয়া করে দলের ত্যাগি নেতাকর্মীদের ডেকে ওনাদেরকে একটু মূল্যায়ন করেন, সন্মানিত করেন। এরা হয়তো কখনো দলের সাথে ও আপনার সাথে বেঈমানী করবে না কিন্তু মানষিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়লে দলের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। যারা সেন্টেড বুটেড ওরা কিন্তু এসি রুম ছেড়ে রাজপথে  আসবে না। গরম ওদের সহ্য হয়না,, শরীর ঘামালে ওদের খারাপ লাগে। একটু খেয়াল দিন তৃনমুলের পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের দিকে।বিশেষ করে যে লোকটি খোকন সাহা ২৬ বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জ শহর ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হচ্ছে দলের ভীতরে থাকা একজনের করা মামলায়।এসব কিসের আলামত??কোথায় আমাদের নিরাপত্তা। অযোগ্য হলে দল থেকে বের করে দেন,,। আপনি শাস্তি দেন বহিষ্কার করেন মাননীয় নেত্রী। কিন্তু ৪৭/৪৮ বছর রাজনীতি করার পরে এ অপমান  সহ্য করা অনেক কস্টের।  ভুল কিছু বলে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন। জয় বাংলা জয়  বঙ্গবন্ধু।




সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি ফেসবুকের স্ট্যাটাস বলেন ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে ২৬ বছর যাবত আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে থেকে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এ মামলার মূল কারণ। কারণ খোকন সাহার মত নেতারা শামীম ওসমানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগের পারপাস সার্ভ করে। আর মামলার বাদী এন্টি আওয়ামীলীগের পারপাস সার্ভ করে।হিসাব ক্লিয়ার, এতে অবাক হওয়ার কিছু নাই।"

     "




সরকারী তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভিপি হাবিবুর রহমান রিয়াদ ফেসবুকে স্ট্যাটাস  এ বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে সেক্রেটারি পদ দিয়েছিল.... আজ তার দলের মেয়র আওয়ামীলীগ নেতার নামে ওয়ারেন্ট বের করে....কেন্দ্রিয় নেতা ভাইয়েরা নির্বাচনতো করে গেলেন... এবার এই কাজটার সমাধান দেন..!!!

Post a Comment

0 Comments