জেবি বাংলা নিউজ ২৪ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস আজ। ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশে বয় স্কাউট সমিতি গঠিত হয়। ১৯৭৪ সালে বিশ্ব স্কাউটস সংস্থার ১০৫তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল 'বাংলাদেশ স্কাউটস সমিতি'।
১৯৭৮ সালে বয় স্কাউট সমিতির নাম বাংলাদেশ স্কাউটস নামকরণ করা হয়। মেয়েদের সুযোগ দেওয়ার জন্য ১৯৯৪ সালে গার্ল-ইন স্কাউটিং চালু করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটসের সদস্য ২২ লাখ ১০ হাজার। বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম স্কাউট বাংলাদেশ।
https://www.facebook.com/Atif-Coaching-Academy-354783211927560 |
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ হচ্ছে জাতীয় স্কাউট কাউন্সিল। এর প্রধান ও চিফ স্কাউট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, "মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল সর্বস্তরে পৌঁছানোর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের বিভিন্ন সংস্থাকে পুনর্গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর আন্তরিক ইচ্ছায় ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল দেশে স্কাউটিংয়ের নবযাত্রা সূচিত হয় এবং ওই বছর স্কাউটিংকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে প্রতিবছর ৮ এপ্রিল ‘বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।"
তিনি আরো বলেন, "শিশু, কিশোর ও যুবকদের সুস্থ শরীর, সুন্দর মন, সুশৃঙ্খল জীবন গঠন এবং স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্কাউটিং অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। স্কাউট পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের শিশু, কিশোর ও যুবদের সৎ, চরিত্রবান, যোগ্য ও আত্মনির্ভরশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ স্কাউটস ইতিবাচক অবদান রাখছে। সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে যুবসমাজকে সৎ, আদর্শবান ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।"
0 Comments