এক আলোকবর্তিকার কথা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
খান মেহেদী - বাকেরগঞ্জে নূরুন্নাহার বেগম ১২ বার উপজেলা এবং একবার জাতীয় পর্যায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে সম্মান বয়ে এনেছেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১০৬ নং দুধলমৌ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মানসম্মত শিক্ষার জন্য একজন দক্ষ প্রধান শিক্ষক নূরুন্নাহার বেগম তিনি ১২ বার জাতীয় পর্যায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে সম্মান বয়ে এনেছেন বাকেরগঞ্জ বাসীর জন্য, বাকেরগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মস্তফা ০৩/০১/২০২২ অবসর গ্রহন করলে ইতি মধ্যে তিনি শুন্যপদে প্রধান শিক্ষক নূরুন্নাহার বেগম ঐ পদের জন্য আবেদন করেছেন তিনি জেলা পর্যায় একবার এবং উপজেলা পর্যায় ১১ বার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক র্নিবাচিত হয়ে তার স্কুলটি ইউনিয়ন পর্যায় প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন,সজ্জিত করন,উপকরন সহ পাঠদান ও সাবির্ক দিক থেকে মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং পরবর্তীতে উপজেলায় ২য় হিসাবে প্রস্তাবিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে ২০১৯ সালে সরকারী খরচে চিন সফরে পাঠান। দির্ঘ ২৬ বছরের শিক্ষকতা জীবনে ২০ বছরই সুনামের সাথে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। দুধলমৌ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব ভার গ্রহন করার পর থেকেই শুরু করেন শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ। যার ধারা বাহিকতায় সাইক্লোন সেল্টার,স্কুলের শিক্ষক ৬জন থেকে ১২ জনে বৃদ্ধিকরন,উপজেলা পর্যায় ২য় মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে আবেদন করা হয়। প্রধান শিক্ষক নূরুন্নাহার বেগম সাংবাদিকদের জানান ২০০৩ সালে স্কুলটিতে যোগদারে পর থেকেই স্কুলের শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৮ জন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি,৪৩ জন সাধারন বৃত্তি এবং প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ১৫১ জন জিপ্এি- ৫ পেয়ে শতভাগ পাশ করেছে। সবকিছুই সম্ভব হয়েছে একজন আর্দশ এবং প্রতিভাবান শিক্ষকের জন্য স্কুলের অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরাও আনন্দিত। নুরুন্নাহার বেগম একজন হাস্যউজ্জল মুখ সকলের সাথেই যেন তার হাসি মুখে সুন্দর ব্যাহার প্রতি দিনই শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে।
১৯৭৩ সালে ভরপাশা গ্রমে জন্ম গ্রহন করেন ছোট বেলা থেকেই ছিলেন মেধাবীছাত্রী হিসাবে দুধলমৌ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন ১৯৮৯ সালে সরকারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরে বাকেরগঞ্জ সরকারী কলেজে এবং বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বাংলা বিভাগ থেকে এমএ পাশ করেন। চাকুরী জীবনে জামিনা মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৯৬/৯৭ ইং ২ বছর,বাকেরগঞ্জ সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে ৭ বছর,২০০৩ সালে উত্তর ঢাপরকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ঐ বছরই দুধলমৌ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন এবং দির্ঘ ১৯ বছর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
পারিবারিক জীবনে তার স্বামী একজন অবসর প্রাপ্ত ব্যাংকার,মেয়ে বিএম কলেজ থেকে ক্যামিষ্ট্রিতে মাষ্ট্রার্স,ছেলে এইচ এসসি পাশ করেছে ৪ জনের সুখি পরিবার,বর্তমানে নানী হয়েছেন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত শিক্ষাকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি। বাকেরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষার প্রদানের জন্য একজন দক্ষ হেডমাস্টার হিসাবে নূরুন্নাহার বেগম কে নিয়োগ দেয়ার দাবি সকল ছাত্র-ছাত্রীর অকিভাবক, সুশিল সমাজ ও সর্বস্তরের মানুষের।
শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড, প্রাথমিক শিক্ষা প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীদের জীবন গড়ার লক্ষ্যে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে, সে ক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
ইতিমধ্যে বাকেরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা দীর্ঘদিন সুনামের সাথে অত্র প্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজ মেধা ও শ্রম দিয়ে যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন চাকুরি করে সর্বোপরি সদ্য অবসরে গিয়েছেন। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার রিটায়ার্ড হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দুর চিন্তায় পরেছেন। বাকেরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখার পড়ার মান ধরে রাখার জন্য একজন অভিজ্ঞতা প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য জোর দাবি ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকের। বাকেরঞ্জ উপজেলা সদরে জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত বাকেরগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন দক্ষ মেধাবী এবং অভিজ্ঞতা পুর্ন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে লেখা পড়ার মান সমুন্নত রেখে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তোলার জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি সাধারণ শিক্ষার্থী,অভিভাবক এবং সুশিল সমাজ নেতৃবৃন্দের।
0 Comments