জাকির হোসেন রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
সবাইকে ১৪২৯ বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কর্ণহার থানা ইনচার্জ মোঃইসমাইল হোসেন।তিনি বলেন"এসে হে বৈশাখ "'এসো হে এসো'বাংলা এবং বাঙালির প্রতি এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই পাকিস্তান নামক বিভ্রান্তিকর রাষ্ট্রটির জন্ম। কাজেই বাংলা নববর্ষ উদযাপন পাকিস্তানি আদর্শের পরিপন্থী। তারপরও বাঙালিরা বাংলাকে যেমন ছাড়েনি, তেমনি বাংলা নববর্ষ পালনও বন্ধ করেনি। বরং স্বল্পসংখ্যক বাঙালির শত্রু বাদে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ নববর্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছিল। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে পূর্ব বাংলায় মুসলিম লীগের ব্যাপক ভরাডুবির মাধ্যমে যুক্তফ্রন্টের সরকার গঠিত হলে মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের সরকার বাংলা নববর্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন এবং নববর্ষ উপলক্ষে প্রথম সরকারিভাবে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তবে সে অর্জন স্থায়ী হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙে সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করলে নববর্ষের সরকারি স্বীকৃতিও রহিত হয়। তবে এতে বাঙালির বাঙালিত্ব বিকাশে এই বাধা প্রবল শক্তি সঞ্চয়ের আধার হিসেবে আবির্ভূত হয়। সরকারি বাধার কারণে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। ১৯৫৮ সালে বাঙালির নববর্ষের সরকারি ছুটি বাতিল করে দেয়া হয়। বাঙালিরা সংস্কৃতির ওপর এই সন্ত্রাস মেনে নেয়নি। সবচেয়ে সুসংগঠিত ও সুপরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করে ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৭ সালে রমনার পাকুড়মূলে (বটমূলে) বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদী বর্ষবরণের সূচনা করে। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে শুরু হয় বাঙালির প্রাণের উৎসব এবং কিছু দিনের মধ্যে এ গানটি স্থান করে নেয় বাঙালির সবচেয়ে বেশি গাওয়া জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ এবং একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’- এর কাতারে।
0 Comments