গতকাল মঙ্গলবার ইফতারের পর বারদী বাজারে মুজিবুর ও হাসান নামের দুই ব্যক্তির মধ্যে নিজেদের বংশ নিয়ে তর্ক হয়। তর্কের এক পর্যায়ে মুজিবুর পক্ষের লোকজন হাসানকে মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র তাদের ঘনিষ্ট জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু ঘটনাস্থলে এসে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল মেম্বারের লোকজন জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু’র অতর্কিত হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, টেঁটা, রামদা, লাঠিসোটায় সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষে জাকির পক্ষের জাকির সরকার, জামাল, মাসুম সরকার, বাসেদ সরকার, মামুন সরকার, সামসুল, হুমায়ুন সরকার ও হাসান এবং জহিরুল পক্ষের তাইজুল ইসলাম, হযরত আলীসহ ১৫ জন আহত হয়। বারদী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন বারদী ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি ও সাবেক বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক এর নেতৃত্বে নাজমুল মেম্বার, ইব্রাহিম ইবু আমার দোকানে চাঁদা দাবী করে সেই চাঁদা না দেওয়াই নাজমুল মেম্বার, ইব্রাহিম ইবুর নেতৃত্বে দোকান ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এতে করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। স্থানীয় এলাকাবাসি জানায় সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক এর লোকজন নাজমুল মেম্বার, ইব্রাহিম ইবু সহ আরও ৪০,৫০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র সহ মিষ্টির দোকান সহ বাজারের অনেক দোকান ভাংচুর করে।
0 Comments