অসহায়দের খোঁজে ‘ফ্রী-মোশন’ এর ফিরোজ হাসান


 হেলমেট পরা ছবিটি অধিকাংশ মানুষের কাছে পরিচিত হলেও খুব অল্প সংখ্যক মানুষ তার চেহারা দেখেছেন। মূলত ক্যামেরার সামনে না এসে গোপনে দান করাই তার উদ্দেশ্য। যিনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ খুঁজে বেড়ান। মানবিক সেবাকেই যিনি জীবনের লক্ষ্য হিসিবে বেছে নিয়েছেন। বলছি, ‘ফ্রি মোশন’ এর ফিরোজ হাসানের কথা।


‘ফ্রী-মোশন’ এই নামটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউব ব্যবহারকারীদের কাছে খুবই পরিচিত। মানবিক সহায়তা করার জন্যই ‘ফ্রী-মোশন’ নামকে বেছে নিয়েছেন তিনি। ভ্রমণে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে মানুষের বিবেগকে জাগ্রত করাই তার উদ্দেশ্য।

তবে অবাক করার বিষয় হলো প্রথম অবস্থায় এ বিষয়ে ফিরোজ হাসানের তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ভ্রমণের সুবাদে সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো দেখে নিজ থেকেই তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন তিনি। প্রথম দিকে ভিডিও করার ভাবনা মাথায় না থাকলেও পরবর্তীতে মানুষের মাঝে মানবিক চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে তিনি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি শুরু করেন। যার শুরুটা হয়েছিল ২০২০-এর ফেব্রুয়ারি থেকে।


শুধু তাই নয়, অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছে ‘ফ্রী-মোশন’ এর মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতাকে। ফিরোজ হাসানের ভাষায়, কিছু অসাধু ব্যক্তি আমার নাম ও পেজের নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ডোনেশন নিচ্ছে। আবার অনেকেই ফেইক আইডি করে মানুষকে প্রতারিত করছে, যেটি খুবই দুঃখজনক। এতোকিছুর পরেও যে মানুষের সেবা করতে পারছি সে জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।


তিনি আরও বলেন, চলার পথে সামর্থ্য অনুযায়ী সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আর ভিডিও তৈরির মূল উদ্দেশ্যই মানবিক কাজে মানুষকে উৎসাহিত করা। কেননা আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি সামর্থ্যবান মানুষ যদি সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে অবশ্যই একদিন সমাজ থেকে দারিদ্রতা এবং অসহায়ত্ব দূর হবে ইনশাআল্লাহ।।



Post a Comment

0 Comments