রাজশাহীতে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত


 রাজশাহী প্রতিনিধিঃ জাকির হোসেন


রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে।দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরেরা।বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক এ.কে.এম সরোয়ার জাহান এঁর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোসা. হাসিনা মমতাজ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. রাজিউল হক।
সমাজসেবা অফিসার ড. মো. হামিদুর ইসলাম এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ড. আবদুল্লা আল ফিরোজ, সহকারী পরিচালক মো. বায়েজীদ হোসেন ওয়ারেছী সহ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, এ বছর ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এমন বিশ্ব গড়ি, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’।আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, এক সময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিষয়টি নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। সায়মা ওয়াজেদ এ অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন। এরপর থেকে প্রতি বছর অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদা দিবসটি পালন করা হচ্ছে।অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা প্রদানের মাধ্যমে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। এই ক্ষেত্রে অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে জানা তাঁরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অটিজম শিশুদের প্রতি আন্তরিক। তাই সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে ‘বলতে চাই’ অমৌখিক যোগাযোগ সহজ করবে। শিশুর অটিজম আছে সন্দেহ হলে সহজেই ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ অ্যাপ দ্বারা ঘরে বসেই অটিজম আছে কিনা তা জানা যাবে।

Post a Comment

0 Comments