মেহেদী হাসান শুভ চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের মিনি কক্সবাজার খ্যাত বাঁশগাড়ি চরটি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে শহরের জন্য। তাই শহর বাঁচাতে দ্রুত চরটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কারের প্রকল্প এখনও অনুমোদন না হওয়ায় ঝুলে আছে সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন। দিন দিন চরটি ঝুঁকি বাড়াচ্ছে শহরের।
চাঁদপুরের এই বাঁশগাড়ি চরটি দিন দিন ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় স্থান হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। তবে শহর রক্ষা প্রকল্পের ওপর চাপ কমানো, নদীর গতিধারা ও নাব্যতা ঠিক রাখতে যত দ্রুত সম্ভব বাঁশগাড়ি চর কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে সচেতন মহল। তবে এমন খবরে হতাশ পর্যটকেরা।
গত বছরই বাঁশগাড়ি চর কাটার জন্য মতামত দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ। পরে জেলা প্রশাসকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চরটিকে বালু মহাল ঘোষণা করে কাটার অনুমতি দেয় ভূমি মন্ত্রণালয়। যদিও জেলা প্রশাসক বলেন, চর অপসারণ হবে শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কার প্রকল্পের সাথে।
শহর রক্ষা বাঁধের জন্য তৈরিকৃত ডিপিপিতে মিনি কক্সবাজার খ্যাত বাঁশগাড়ি চরও ধরা আছে বলে জানান চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ড্রেজিং করতে যে অর্থের প্রয়োজন তা মিলবে প্রকল্প অনুমোদনের পরেই। জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত জামিল বলেন, চরটি অবস্থানগত কারণেই একটা ঝুঁকির মধ্যে আছে। আমাদের প্রকল্পের কাজ শুরু হলেই চরটি কাটার কাজ শুরু করতে পারবো।
চাঁদপুরকে ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে কেটে ফেলতে হবে মিনি কক্সবাজার। তবে ২০১৮ সালে পাঠানো শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কার প্রকল্প এখনও অনুমোদন না হওয়ায় দোলাচালে আছে সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন।
0 Comments