মেহেদী হাসান শুভ (চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি)
হাইমচরে ভাই বোনের ঝগড়া, অতঃপর গলায় ফাঁস দিয়ে ছোট বোনের আত্মহত্যা। মৃত্যু নাকি হত্যা এ নিয়ে এলাকায় চলছে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি।
মৃত অপর্ণা (১৮) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে হাইমচর থানা পুলিশ। উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড গন্ডামারা গ্রামে রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকাল সাড়ে ৪ টায় স্থানীয় সোবহান পাটওয়ারী বাড়ি থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, এসআই সঞ্চিত কুমার সহ সঙ্গীয় ফোর্স লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, মৃত অপর্ণা বেগমের ছোট ভাই মোঃ বাচ্ছু (১৫) গত ১৩ জুন তাহার বোন জামাই নকীব হাসান মুন্নার খালাতো ভাই, মোঃ মনির হোসেনের মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। মোবাইল চুরি হওয়ার কথা মনির তাহার মামাতো ভাই নকীব হাসান মুন্না কে বলেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৫ জুন বুধবার ঘরোয়া শালিসি বসার কথা থাকলেও অপর্ণা বেগমের বড় ভাই তাঁকে মারধর করে।
সেই সাথে স্বামী নকীব হাসান মুন্নার সাথে তাহার স্ত্রীর সাথে কথাকাটি হয়। মঙ্গলবার দুপুরে অপূর্ণা বেগম (১৮) সবার অজান্তে নিজ বাড়ীর বসত ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে আড়াঁর সাথে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। অপর্ণা বেগমের স্বামী মুন্না ঢাকায় একটি কোম্পানিতে তিন মাসের জন্য প্রশিক্ষনরত আছেন।
এ ঘটনায় এলাকায়বাসী জানায়, অপর্ণা বেগম মেয়ে হিসেবে ভালো ছিল। ৬/৭ মাস আগে নকীব হোসেন মুন্নার সাথে তার বিয়ে হয়। ধারনা করা হচ্ছে মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অপমানিত হওয়ায় সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
মৃত অপর্ণা বেগমের বড় ভাই রাজন জানান আমি একজন দিনমজুর। কাজের থেকে ফিরে এসে দেখি অপর্ণা আত্মহত্যা করেছে। তবে কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট না।
0 Comments