সোনারগাঁ বাংলার রাজধানী নামে পরিচিত বারো ভুইয়ার শাসন আমল ছিলো এই রাজধানীতে এমন কি সোনারগাঁ আওয়ামিলীগ এর ঘাটি হিসাবে পরিচিত ছিলো কিন্তু সেই আওয়ামিলীগ এর ঘাটিতে নৌকার ভরাডুবি।আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ্ আল কায়সার এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম থাকা সত্ত্বেও নৌকার ভরাডুবি। মোগরা পাড়া ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু আহবায়ক কমিটির মধ্যে ছিলেন যখন তিনি নৌকা পাননি তখন সে সেচ্ছায় পদত্যাগ ঘোষনা করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার ঘোষনা দেন।তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন নৌকার মনোনিত প্রার্থী হাজি সোহাগ রনি।জেলা, মহানগর, সোনারগাঁ থানা আওয়ামিলীগ এর নেতৃবৃন্দ নৌকাকে বিজয় করতে মাঠে নামেন, ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতৃবৃন্দরা প্রতিনিয়ত ও নৌকার পক্ষে প্রচারণা করেন তবুও নৌকাকে তারা পাস করাতে পারলো না। তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করছে এর জন্য দায়ী সোনারগাঁর আওয়ামিলীগ এর নেতৃবৃন্দ, শেষ প্রচারণা সময় জেলা,মহানগর সোনারগাঁ আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ থাকলেও থাকেন নি সাবেক সংসদসদস্য কায়সার হাসনাত এই নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। তাইলে কি কায়সার হাসনাত নৌকা কে সাপোর্ট দেননেই। অনেকেই বলছেন যেখানে নৌকার ঘাটি হয়ে নৌকা ফেল করে সেইখানে ভবিষ্যতে নৌকার অস্তিত্ব থাকবে কিনা সন্দেহ আছে। যদি এখন থেকে এমন শিক্ষা সোনারগাঁ আওয়ামিলীগ না পায় তাইলে ভবিষ্যতে তাদের অবস্থা অনেক শোচনীয় হবে। নৌকার মনোনয়ন পেয়েও পরাজয় হওয়াটা এটা জাতীর কাছে খুব লজ্জাজনক।আমরা মনে করি এখন থেকে যদি নেতৃবৃন্দরা দল কে গুছাতে না পারে তাইলে সামনের বার নৌকা কেউ পাবে কিনা সন্দেহ আছে। আরও বলেন যেখানে নিজেদের মানুষ এই নিজেদের ক্ষতি করে সেইখানে জামাত বি,এন,পি আরও শক্ত অবস্থানে চলে যাবে তাদের কেউ তখন রুখে দাঁড়াতে পারবেনা। এই জন্য ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্য হয়ে সোনারগাঁ আওয়ামিলীগ কে শক্ত অবস্থান এ আনতে হবে।
0 Comments